Advertisement


হোয়ানকে আগুনে ছাই হলো একটি পরিবারের স্বপ্ন!


রকিয়ত উল্লাহ।।
উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে ছাই হলো একটি পরিবারের স্বপ্ন। প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করে সুখে বসবাস করে আসছিলো হাফেজ তারেক-কামরুন নাহার দম্পতি। যৌথ ভাবে বসবাস করেছিলো পরিবারের সদস্য হাফেজ মৌলানা ইসমাইলও। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন -হঠাত্ করে সোমবার রাত ১০টার দিকে আগুনে পুড়ে ছাই হলো তাদের স্বপ্ন। তাদের চোখের সামনেই পুড়ে গেলো সুন্দর সাজিয়ে রাখা আসবাবপত্র ভর্তি ঘর। পুড়ে ছাই হলো -নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।

দুই পরিবারে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন। আগুন লাগার প্রায় ঘন্টাখানেক পর মহেশখালী সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আসলেও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা বাড়ি-ঘর।

সরজমিন দেখাগেছে -চোখের সামনে পুড়ে যাওয়া ঘরের পাশে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাসেম জানিয়েছেন -বাড়ির জ্বালানি গ্যাস বা বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরতে পারে, এলাকবাসী প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও বিফল হয়। দমকল কর্মীরা আসার আগেই ৭০ শতাংশ পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিক মৌলানা ইসমাইল বলেন -হঠাত্ করে দেখতে পাই বাড়িতে আগুন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে গেলো। কোন কিছুই বাড়ি থেকে বের করতে পারিনাই । ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই সব শেষ। তিনি জানান - ৩ভরি স্বর্ণ, নগদ ৫ লাখ টাকাসহ আনুমানিক ১০ লাখ টাকার উপর ক্ষয়ক্ষতি হলো। 'এখন আমার পথে বসা ছাড়া উপায় নেই' -বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান -মূলতঃ গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়, তবে আশপাশের কোথাও পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা বিলম্বিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।