Advertisement


১৪ মার্চ: পাকিস্তানের দুই অংশে দুই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ফর্মুলা দেন ভুট্টো


মুহম্মদ হেলাল উদ্দিন

আমাদের মুক্তি সংগ্রামের পথকে বাধাগ্রস্থ করতে জান্তা সরকার পূর্ব থেকেই এদেশে কঠোর বিধি আরোপ ও প্রয়োগ করতে থাকে। বিপরীতে এদেশের মুক্তি পাগল জনতা এসব বাধা-বিপত্তি মাড়িয়ে এগিয়ে চলছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যের দিকে। প্রতিদিনই সামরিক আইন লঙ্ঘন করে মিছিল সভা চলতে থাকে। বেসামরিক প্রশাসন পশ্চিম পাকিস্তানি নীতি অনুযায়ী কাজ করা থেকে বিরত থাকে।

আন্দলনের তীব্রতা অনুধাবন করতে পেরে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করতে থাকে জান্তা সরকার। ১৪ মার্চ পাকিস্তানের দুই অংশে দুই দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের নতুন এক ফর্মুলা দেয় ভুট্টো। বিপরীতে বঙ্গবন্ধু বাংলার জনগণের সার্বিক স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলছে, চলবে বলে ঘোষণা দেন। একই সময় তিনি এদেশের জনগণকে অসহযোগ চালিয়ে যাওয়ার পূণরায় নির্দেশ প্রদান করেন।

বাংলার অসহযোগ আন্দোলনের ফলে পশ্চিমা শিল্পপতিদের ব্যবসায় লোকসান হতে থাকে, নাভিশ্বাস শুরু হয় পশ্চিমাদের। পাকিস্তানী ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এদিন পাক সামরিক সরকারের প্রতি স্মারকলিপি প্রদান করে। তারা জান্তা সরকারকে বঙ্গবন্ধুর চার দফা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান একই দিন। হরতালের কারণে ফল চালান করতে না পারায় লাহোরে শত শত মণ ফল নষ্ট। করাচিতে প্রতি সের পান ১৫০ টাকায় ওঠে এদিন, যা এর আগের কয়েকদিনের তুলনায় প্রায় দশগুণ। ঢাকার পান না পেয়ে করাচিতে পান বিরল হয়ে পড়ে।