Advertisement


সেতু চাই আন্দোলন: পাঠকের খোলা চিঠি


প্রিয় দ্বীপবাসী আশা করি তোমরা ভালো নায় ৷আমিও তেমন ভালো নেই ,তোমাদের কি খুব কষ্ট হচ্ছে ? তোমাদের ভাই তোফাইল ও ইসমাঈল চলে গেছে বলে ! আমি প্রতিনিয়ত কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি হয়তো এই কান্নার শব্দ নেই  বলেই কেউ শুনে না ৷ বিষণ কষ্ট হয় আমার !যখন আমার উপর বসবাসকারী সাধারণ জনগণ কক্সবাজার নৌ-পথে দূর্ঘটনা ও নির্যাতনের শিখার হয় ৷ ঘাটের ড্রাইভার ও ইজারাদারের আচরণে আমি লজ্জিত হই ৷  আমার হ্নদয়ে তখন রক্তকরণ হয় যখন আমার দ্বীপ বাসী বার বার নির্যাতন ও দূর্ঘটনার কবলে পড়ে ৷

আমার (দ্বীপের) দেহ জ্বলে যখন নেতা নামের দানবেরা স্পেশাল ভোট নিয়ে চলে যায় ,সব দুঃখ দূর্দশা সাধারণ জনগনের উপরে ! 

হে নেতারা আমার (দ্বীপের) সাধারণ জনগণ  চাইনা ক্ষমতার মসনদ, চাইনা রাজত্ব বা কতৃত্ব ,তারা শুধু চাই নিরাপদে সাগর পাড়ি দিতে ৷ 

প্রিয় দ্বীপের কর্তারা ! আমার বুকে বসবাসকারী সাধারণ জনগণ খুব সহজ সরল ৷ কিছু দিন আগে যখন তোমরা তাদের বসত ভিটা,ফসলি জমি নিয়ে নিলে তখন তরা নির্দিধায় দিয়ে দিলো ৷ তখনও আপনাদের কোন প্রশ্ন করে নায় ৷ তাদের সেই জমিতে ভিনদেশিরা সংসার করতেছে ৷ আমার দ্বীপের শ্রমিকেরা ক্ষমতা আর পতিপত্তি চাই না ৷ তারা চাই নিরাপদ যাতায়েত ৷ সিঙ্গাপুর আর ডিজিটাল আইল্যান্ডের নাম দিয়ে দ্বীপকে কলংকিত করবেন না ! আপনরা এসি গাড়ি ও স্পেশাল ভোট নিয়ে চলা ফেরা করেন তাই ডিজিটাল মনে হয় ! 

 আমাদের বুকে বসবাসকারী নেতারা তাদের চোখে রঙ্গিন চশমা পড়ার কারণে  দুঃখ-দুর্দশা দেখেও না দেখার ভান করে ৷ তোফাইল, ইসমাইলের অসহায়ত্বের আর্তনাত তাদের কর্ণকুহুরে পৌছায় না ৷ 

আমার সন্তানদের আহাজারী আমার সহ্য হয় না ,তাদের প্রতি করুণা নয় , নিরাপত্তা তাদের অধিকার ৷ আপনাদের রঙিন চশমা খোলেন ৷ এই দ্বীপকে ক্ষত-বিক্ষত করেই কি আপনাদের  ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হবে ? আর কত তোফাইল ,ইসমাইলের সলীল সমাধি হলেই আপনাদের মানবতার দরজা খোলবে ? আপনারা নেতা হয়েছেন আমার (দ্বীপের) সহজ সরল জনগণের কারণে ৷

#তাই আমি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাইঃ

আর কত আমার সাধারণ জনগণকে ঘুম পাড়ানি গান শুনাবেন ? আপনাদের মিথ্যা শান্তনা আর মিথ্যা স্বপ্নে আমার(দ্বীপের) জনগণ অতিষ্ট ৷ তোফাইল শহীদ হয়ে গেছে এখন হাজার হাজার তোফাইলের সৃষ্টি হয়েছে ৷ তোফাইলের আত্মা সকলের অন্তরে ডুকে গেছে ! আশা করি তোফাইলের আত্মাদের মনের কথা বুঝবেন ! 

হে আমর (দ্বীপের) সাধারণ ছাত্র ও জনগণ তোমরা অন্ধ হয়ে নেতার পিছনে দৌড়ে দৌড়ে অন্যের অধিকার হরণ করোনা ৷ তোমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বা ধর্মের পার্থক্য থাকতে পারে তবে যাতায়েতে সবাই এক ৷ সেতু বা নিরাপত্তা সকলের জন্য তাই তোমরা সকলে ভাই ভাই হয়ে তোমাদের দাবী আদায় করে নাও ৷ কথায় আছে না ? যে বাচ্ছা কান্না করে সেই দুধ পায় ৷ তাই সেতু নামক দুধের জন্য প্রতিবাদ নামক কান্না প্রয়োজন ৷ 

দ্বীপের অনুভূতির সাথে একত্মতা প্রকাশ করে বলতে চাই , আসুন আমাদের  বিবেকের দরজায় করাঘাত করি ৷ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করি৷ আমাদের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরি ৷

আরিফ বিন ছিলেহ ।