Advertisement


বর্ণিল আয়োজনে বৌদ্ধ ভিক্ষু রত্নানন্দ মহাস্থবিরের ৫১তম জন্মদিন পালিত

ভদন্ত রত্নানন্দ মহাস্থবির

জুয়েল বড়ুয়া।। 

বৌদ্ধ ভিক্ষু রত্নানন্দ মহাস্থবিরের ৫১তম জন্মদিন বর্ণিল আয়োজনে পালিত হয়েছে। আয়োজনে অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। শেষে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। 

জানাগেছে -বাংলাদেশী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সর্বোচ্চ সংগঠন  সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার কার্যকরী সদস্য, সাতকানিয়া-লোহাগড়া ভিক্ষু সমিতির মহাসচিব, পুটিবিলা মহাবোধি বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত রত্নানন্দ মহাস্থবির। আজ ছিল তার ৫১তম জন্মদিন। 


ভদন্ত রত্নানন্দ মহাস্থবিরের এ ৫১তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেন সহযোগী ভিক্ষুরা। 


লোহাগাড়ার পুটিবিলা মহাবোধি বিহার মিলনায়তনে সহযোগী ভিক্ষুদের আয়োজেন এ জন্মদিন উৎযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন -বর্ষিয়ান বৌদ্ধ ভিক্ষু ধর্মদর্শী মহাস্থবির। 

আয়োজনের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো হয়। সংঘদানসহ জ্ঞাতী ভোজনের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হয়।


দ্বিতীয় পর্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরণ করেন পুটিবিলা বিহারের উপ-অধ্যক্ষ তাপস জ্যোতি ভিক্ষু। 

মূল অনুষ্ঠানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা বৌদ্ধ অনুসারীরা।

জন্মদিন উপলক্ষে আবাল্য ভ্রহ্মচারী এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে  পুষ্পমাল্য, সম্মাননাসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করে অভিনন্দিত করা হয়।

আয়োজনকে ঘিরে পুরু বিহার এলাকায় এক আনন্দঘন ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভদন্ত রত্নানন্দ মহাস্থবির তার জন্মদিন উপলক্ষে এমন আয়োজন উপহার দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গৌতমবুদ্ধের অহিংস নীতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

প্রঙ্গতঃ পিতা প্রয়াত নিকুঞ্জ বিহারী বড়ুয়া(হেডম্যান) ও মাতা সুচন্দা বড়ুয়ার গর্ভে ১৯৭০ সালে আজকের এই দিনে সাতকানিয়া, বড়দুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রত্ননন্দ ভিক্ষু।

১৯৯৭ সাল ১০ই নভেম্বর গাহস্থ্য জীবন ত্যাগ করে গৌতম বুদ্ধের নির্দেশিত পথে অনুপ্রাণিত হয়ে মস্তক মুন্ডন করে বৌদ্ধ ভিক্ষু ধর্মে উপনীত হন। সেই থেকে বর্তমান অবিধি ব্রহ্মচর্য্য জীবন অতিবাহিত করে যাচ্ছেন  ফল স্বরুপ আজীবন সম্মাননাসহ বহু পদকে ভূষিত হয়েছেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ করছেন। 

এদিকে বাংলা ও বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি পালা কীর্তনের মধ্যে দিয়ে রত্নানন্দ ভিক্ষুর ৫১ তম জন্মদিনের উৎসবের পর্দা টাঙ্গানো হয়। পরিশেষে রত্নানন্দ মহাস্থবির বলেন-আজকে যারা আমাকে অভিনন্দিত করেছেন, শারীরিক, মানসিক, অর্থ ব্যয় করে আমাকে ঋণী করেছেন প্রত্যেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিশেষ করে থাইল্যান্ডে অবস্থানরত আমার প্রিয় শিষ্যা জ্যোতিনন্দ ভিক্ষুকে আর্শিবাদ করছি। কামনা করছি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।


মহান এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর জন্মতিথি উদযাপনকে কেন্দ্র করে রঙ বেরঙের  আলোক সজ্জা, আতশবাজি আর ফুলে ফুলে শোভিত রঙ্গিন করে তোলা হয় পুরো অনুষ্ঠান।