Advertisement


হোয়ানকে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ নিয়ে জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালীর হোয়ানকে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ নিয়ে সাজেদা বেগম নামে এক মহিলার দখলি জমি জবরদখলের চেষ্টা করছে একই ইউনিয়নের বিভিন্ন অপরাধ কান্ডে জড়িত গোলাম মোস্তফা। এতে চরম শৃঙ্খলা ভঙ্গের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। এ ঘটনায় দ্রুত আইনি সহায়তা চান ভুক্তভোগী সাজেদা বেগম।

জানা যায়- ৬৯৯ নম্বর খতিয়ান হতে মোট ৩ শতক জমি ক্রয় করেন সাজেদা বেগম৷ যা পরবর্তী ২৩১৯ নম্বর খতিয়ানে নামজারি করা হয়। কিন্তু গোলাম মোস্তফা তথাকথিত ওয়ারিশ হতে ক্রয় করা দলিল দেখিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো জোরপূর্বক সাজেদার জমি জখলে নিতে নানা সময় হুমকি দিয়ে আসছেন৷

আরও জানা যায়- দিলোয়ারা বেগম নামে এক মহিলা ৬৯৯ নম্বর খতিয়ানের মূল মালিক রমজান আলীর স্ত্রী সেজে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জালিয়তির মাধ্যমে নকল ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করেন। পরে সে নকল ওয়ারিশ সনদ দেখিয়ে গোলাম মোস্তফাকে জমি বিক্রি করেন তথাকথিত স্ত্রী দিলোয়ারা।

জমির মূল মালিক হতে সংগ্রহ করা ২০০৯ হতে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৪জন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত চারটি ওয়ারিশ সনদের তথ্যে কোনটিতেই তথাকথিত স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম ও তাঁর সন্তানের নাম পাওয়া যায়নি। কেবলই জালিয়াতির মাধ্যমে করা সনদেই নাম উল্লেখ রয়েছে। যেটি বর্তমান চেয়ারম্যান বাতিল করেছে।

এদিকে পরিষদ হতে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ নেয়ার বিষয়ে খবর পেলে হোয়ানক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে তৎক্ষনাৎ তদন্তর করে নকল ওয়ারিশ সনদ বাতিল করেন এবং রমজান আলীর মূল ওয়ারিশদের সনদ সরবরাহ করেন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মীর কাশেম চৌধুরী।

ভুক্তভোগী সাজেদা বেগম জানান- আমার দখলে থাকা নিজের নামের রেকর্ডিয় জমি জবরদখলে নিতে বিভিন্ন সময় হত্যাসহ নানারকম হুমকি দিয়ে আসছে গোলাম মোস্তফা। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি। তাই আমার নিজপর রেকর্ডিয় জমিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সার্বিক নিরাপত্তা পেতে পুলিশের সহায়তা চাই আমি।