এ সময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১টার দিকে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মহেশখালী থানা পুলিশ।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের আফজলিয়াপাড়া এলাকায় টহলরত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় আবু সৈয়দের নেতৃত্বাধীন একটি সশস্ত্র দল।
এতে এএসআই সেলিম মিয়া, কনস্টেবল সোহেল রানা ও কনস্টেবল মাসুদ হোসেন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় মামলা (নং-২০) দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর আবু সৈয়দের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ইউনুসখালীস্থ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, দুটি এলজি এবং তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আবু সৈয়দের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় ডাকাতি ও পুলিশের ওপর হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত রোববার মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতসহ একাধিক মামলার পলাতক ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এই মামলার প্রধান আসামি আবু সৈয়দকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার এবং কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ খান।
মহেশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রতুল কুমার শীল বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আবু সৈয়দের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ তিনটি মামলা রয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন প্রক্রিয়াধীন।