স্থানীয় পুলিশ প্রধান জানান, কাঠের নৌকায় ১৪ শিশু ও ১৮১ জন নারীসহ মোট ২৯৭ জন রোহিঙ্গা কূলে ভিড়েছে। সুমাত্রার উত্তর উপকূলে লোকসেউমাওয়ে নগরীর উপকূল থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরে সমুদ্রের গভীরে স্থানীয় জেলেরা ভাসমান এই নৌকাটিকে দেখতে পান।
লোকসেউমাওয়ে নগরীর রেড ক্রসের প্রধান কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নৌকার রোহিঙ্গাদেরকে আপাতত একটি স্থানে রাখা হয়েছে পরে তাদেরকে সুরক্ষিত অন্য কোনও শিবিরে নেওয়া হবে। তবে তাদের স্বাস্থ্য, বিশেষ করে করোনা নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কাজ করা এনজিও ‘আরাকান প্রজেক্ট’র পরিচালক ক্রিস লেওয়া বিবিসি’কে বলেন, গত মার্চের শেষে বা এপ্রিলের শুরুর দিকে রোহিঙ্গাদের এই নৌকাটি বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পৌঁছাতে রওনা হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ তাদের কূলে ভেড়ার অনুমতি না দিয়ে সমুদ্রে তাড়িয়ে দেয়।
ক্রিস লেওয়া জানান, ২০১৫ সালের পর একবারে এত রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানো এই রোহিঙ্গাদের সমুদ্রে জিম্মি করে তাদের পরিবার থেকে বাড়তি অর্থ আদায়ের চেষ্টা হয়েছে।
আইসাহ নামের স্থানীয় এক নারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা তাদের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন, তারাও আমাদের মত মানুষ।
এদিকে যে সময় এ রোহিঙ্গা নাগরিকরা সমুদ্রযাত্রা শুরু করেছিল -তখন মহেশখালী ও কক্সবাজার উপকূল থেকে গোপনে নৌ-পথে গোপনে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের মাঝে এক ধরণের হিড়ি পড়েছিল। তারা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে দালালের মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য বেশ তৎপরতা চালিয়ে ছিলো। সে সময় মহেশখালী থেকে এমন অনেক রোহিঙ্গা ও দালালকে উদ্ধার ও আটক করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
r&e-mr/