মাহবুব রোকন।। মাতারবাড়িতে দুই ইউনিটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি শনিবার (২৯ জুলাই) পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ওইদিন দুপুরে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এই প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। দুপুর ১২টার কিছু সময় আগে তেল পুড়িয়ে পরীক্ষামূলক এ বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রথম দিনে দেড়শ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে তা জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হয়। ডিজেল দিয়ে প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটির উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ সব খবরকে জানান- প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বালানী তেল হিসেবে ডিজেল পুড়িয়ে উৎপাদন শুরু হয়, উৎপাদন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ চলছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এভাবে চলার পর উৎপাদন বন্ধ রাখা হবে, পরে সব ঠিকঠাক থাকলে ফের উৎপাদনে যাবে এই ইউনিটটি।
তিনি আরও জানান- প্রাথমিক ভাবে জ্বালানী তেল দিয়ে ইউনিট-১ এর বয়লার চালানো হলেও সবদিক বিবেচনা করে আগামী ৪ আগস্ট থকে প্রথমবারের মতো কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদনে যাওয়া হবে। তাছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টা পর উৎপাদন বন্ধ রেখে সার্বিক বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে শনিবার (২৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- পরীক্ষামূলকভাবে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ শনিবার দিনের ১১টা ৫৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সিঙ্ক্রোনাইজড করে সফলভাবে চালু করা হয়েছে। চালু হওয়া মহেশখালীর মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ থেকে কম-বেশি ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে । পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও বাড়বে।
এর আগে কেন্দ্রটির প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন- দিনে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে। ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে আরও অন্তত এক মাস সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রে কয়লা মজুত রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি। আর ৬০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটির কাজও ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে- প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক দেশের এই বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ৬’শ মেগাওয়াট করে দুইটি আলাদা ইউনিটে ১২’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে। ইতোমধ্যে ইউনিট-১ উৎপাদনে গেলেও শিগগিরই ইউনিট-২ও উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে। জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই এই প্রকল্পে নির্মাণকাজে ১ হাজার ১৫০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৮ হাজার মানুষ এ প্রকল্পে কাজ করছেন। ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান এ প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিচ্ছে ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
মাতারবাড়ি আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর কাজ এরই মধ্যে ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে, সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৯০ শতাংশ। প্রথম ইউনিটের বয়লারটির পরীক্ষামূলক উৎপাদনের সফলতা পেলে পুরুদমে উৎপাদনে গিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটি নিয়মিত উৎপাদনের জন্য উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দুইটি ইউনিট পুরোপুরি চালুর পরিকল্পনা আছে বলেও প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রের জন্য তিন লাখ টনের পর্যাপ্ত কয়লা সংরক্ষণে আছে এবং আরও ৬৫ হাজার টন নিয়ে আগামী ৭ আগস্ট বিদেশ থেকে জাহাজ আসবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে- গত কিছুদিন ধরে দিনে একাধিকবার ট্রায়াল দিয়ে বয়লার চালু করে ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা। মূলতঃ গত ২৪ জুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি সচল করা হয়। সেদিন সকাল ৮টা থেকে টানা ৪ঘণ্টা চুল্লি জ্বালিয়ে প্রথমবারের মতো বয়লার সচলের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ প্রসঙ্গে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ-সদস্য ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন- মাতারবাড়ির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম সাফল্য, এ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যদিয়ে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে নতুন দুয়ার খুলে গেলো।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ সব খবরকে জানান- প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বালানী তেল হিসেবে ডিজেল পুড়িয়ে উৎপাদন শুরু হয়, উৎপাদন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ চলছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এভাবে চলার পর উৎপাদন বন্ধ রাখা হবে, পরে সব ঠিকঠাক থাকলে ফের উৎপাদনে যাবে এই ইউনিটটি।
তিনি আরও জানান- প্রাথমিক ভাবে জ্বালানী তেল দিয়ে ইউনিট-১ এর বয়লার চালানো হলেও সবদিক বিবেচনা করে আগামী ৪ আগস্ট থকে প্রথমবারের মতো কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদনে যাওয়া হবে। তাছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টা পর উৎপাদন বন্ধ রেখে সার্বিক বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে শনিবার (২৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- পরীক্ষামূলকভাবে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ শনিবার দিনের ১১টা ৫৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সিঙ্ক্রোনাইজড করে সফলভাবে চালু করা হয়েছে। চালু হওয়া মহেশখালীর মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ থেকে কম-বেশি ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে । পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও বাড়বে।
এর আগে কেন্দ্রটির প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন- দিনে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে। ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে আরও অন্তত এক মাস সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রে কয়লা মজুত রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি। আর ৬০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটির কাজও ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে- প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক দেশের এই বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ৬’শ মেগাওয়াট করে দুইটি আলাদা ইউনিটে ১২’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে। ইতোমধ্যে ইউনিট-১ উৎপাদনে গেলেও শিগগিরই ইউনিট-২ও উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে। জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই এই প্রকল্পে নির্মাণকাজে ১ হাজার ১৫০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৮ হাজার মানুষ এ প্রকল্পে কাজ করছেন। ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান এ প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিচ্ছে ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
মাতারবাড়ি আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর কাজ এরই মধ্যে ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে, সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৯০ শতাংশ। প্রথম ইউনিটের বয়লারটির পরীক্ষামূলক উৎপাদনের সফলতা পেলে পুরুদমে উৎপাদনে গিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটি নিয়মিত উৎপাদনের জন্য উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দুইটি ইউনিট পুরোপুরি চালুর পরিকল্পনা আছে বলেও প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রের জন্য তিন লাখ টনের পর্যাপ্ত কয়লা সংরক্ষণে আছে এবং আরও ৬৫ হাজার টন নিয়ে আগামী ৭ আগস্ট বিদেশ থেকে জাহাজ আসবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে- গত কিছুদিন ধরে দিনে একাধিকবার ট্রায়াল দিয়ে বয়লার চালু করে ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা। মূলতঃ গত ২৪ জুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি সচল করা হয়। সেদিন সকাল ৮টা থেকে টানা ৪ঘণ্টা চুল্লি জ্বালিয়ে প্রথমবারের মতো বয়লার সচলের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ প্রসঙ্গে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ-সদস্য ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন- মাতারবাড়ির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম সাফল্য, এ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যদিয়ে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে নতুন দুয়ার খুলে গেলো।
এদিকে শনিবার সকালে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু উপলক্ষে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, এ সময় প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ 'করুণাময় আল্লাহর উপর ভরসা রেখে' বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের দেশি-বিদেশী কর্মকর্তা ও কর্মচালকরা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের উৎপাদন সফল হওয়ায় প্রকল্প ভেতরে এর প্রকার উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয় সংশ্লিষ্টদের মাঝে।