Advertisement


জন্ম নিবন্ধনের কোড পায়নি কালারমার ছড়া ইউনিয়ন, বিপাকে ইউনিয়নের বাসিন্দারা


রকিয়ত উল্লাহ||

মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধনের কোড না পাওয়ায় জন্মনিবন্ধন করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার জনগন। ইউনিয়ন পরিষদে এসে জন্মনিবন্ধন করতে না পেরেই অনেকই আবার ক্ষোভ ও প্রকাশ করেন।

এদিকে কক্সবাজার জেলাসহ কয়েকটি জেলায় রোহিঙ্গাদের কারণে দেখিয়ে গত ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো জন্মনিবন্ধন কার্যত্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। এর প্রায় ২ বছর ১১ মাস বন্ধ থাকার পরে কক্সবাজারে জেলায় গত ১ সেপ্টেম্বর চালু হলো জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম। ৭১ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৪টি পৌরসভার মধ্যে ৩১ আগষ্ট ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক শ্রাবস্তি রায়।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই স্থানীয়দের। ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে জন্ম নিবন্ধন সনদ দরকার হওয়ায় দুর্ভোগ চরমে ওঠে সেবা প্রার্থীদের। এসব জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা চিঠি পাঠায় জেলা প্রশাসন। এরপরই জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।

এরপর কক্সবাজারের মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধনের কাজ করতে না পারায় চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে জনগন। কিন্তু জন্মনিবন্ধনের কোড না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও চুপ আছে। এতদিন পাসওয়ার্ড কেন পাই নি? তার তদারকি চেয়ারম্যান বা ইউএনও কেন করছে না সেই প্রশ্ন কিন্তু ভূক্তভোগী গ্রাহকের।


এদিকে জন্ম নিবন্ধন করতে আসা উত্তর নলবিলার বড়ুয়া পাড়ার ভূক্তভোগী গ্রাহক সনজিত বড়ুয়া জানান, কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন করতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়েছি। উপজেলায় যোগাযোগ করলে ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে বলে আর ইউনিয়ন পরিষদে আসলে এখনো কোড আসে নাই বলে। এভাবে চললে ভোগান্তির শেষ হবে না। এর জন্য দায় নিবে কে? অন্যদিক ইউনুসখালীর বাসিন্দা বাদশা জানান, জন্মনিবন্ধন করতে সকল কাগজ পত্র ঠিক করে ইউনিয়ন পরিষদে আসলে কোড আসে নাই বলে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কোড কখন আসবে সেটা বলে না।

কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একজন কর্মচারী বলেন আমার দুই মেয়ের জন্মনিবন্ধন এখনো করতে পারিনি। এমনি কি চেয়ারম্যান সাহেবের নিজের মেয়ের জন্মনিবন্ধন ও করতে পারেনি। পরিষদে এসে যদি আমরা সেবা দিতে না পারি আমাদের ও খারাপ লাগে।তবে আমাদের করার কিছুই নেই, নতুন কোড আসলে জন্মনিবন্ধন নিয়ে আর বিপাকে পড়তে হবে না কাউকে।

এবিষয়ে কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন,ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির ১৩৪ জন ছাত্র ছাত্রীর উপবৃত্তির জন্য কয়েকদিন আগে পুরাতন পাসওয়ার্ড দিয়ে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল। দুই দিন পরে তা আবার বন্ধ করে দিয়েছে। পুনরায় পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম করা যাচ্ছে না। যদি পাসওয়ার্ড দিলে আবার জন্ম নিবন্ধন করা যাবে।

কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ না করাই বক্ত্যব নেওয়া সম্ভব হয় নি।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন ঠিক আছে বিষয়টা কি হয়েছে আমি দেখতেছি বলে জানান।