জানা গেছে- গত কয়েকদিন আগে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ছনুয়াপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন লোক দফায় দফায় বৈঠক করে সরকারি এ ভূমি দখল করার জন্য একটি বিশাল সিন্ডিকেট গঠন করে। তাদের মধ্যে দখলকৃত ভূমির শোয়ার বন্টনও সম্পন্ন হয়। শেয়ার অনুযায়ী তারা আর্থিক তহবিল সৃষ্টি করে কয়েকজনকে দখলদারত্বের সরদার বানিয়ে এই অবৈধ দখল কাজে নেমে পড়ে। এ অবস্থায় সে পরিকল্পনা মতে গত ১৩ জানুয়ারি শনিবার হঠাৎ শত শত শ্রমিক নিয়োগ করে প্যারা বাগানের বিশাল এলাকা দখল করে বাগান কেটে ঘের তৈরির কাজ চালিয়ে যায়।
জানা গেছে- মহেশখালী চ্যানেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অধিনস্থ সরকারি এই ভূমিতে ১৯৯৬ সালে উবিনীগ নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে এই প্যারাবনটি সৃজন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন- শনিবার ভোর থেকে প্যারাবন কেটে বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি দেখে হতবাক হন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাপা মহেশখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ বাপার একটি টিম।
তাছাড়া প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণের প্রতিবাদ জানাতে সেখানে উপস্থিত হন উবিনীগ এর কক্সবাজার আঞ্চলিক সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন খান । তারা বিষয়টি তাৎক্ষণিক চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনসহ উপকূলীয় বন বিভাগকেও অবগত করেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে দ্রুত চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রাহাতুজ্জমানকে সরকারি সম্পদ উদ্ধার করতে নির্দেশনা দেন। পরে দুপুরে চকরিয়ার সহকারী কমিশনার ভুমির নেতৃত্বে পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ একটি প্রশাসনিক দল ওই এলাকায় উপস্থিত হন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে দখলকাজে জড়িতরা সটকে পড়ে। এ সময় তারা অবৈধ দখল হতে যাওয়া প্যারাবন ও নদীর জায়গা উদ্ধার এবং অবশিষ্ট প্যারাবন রক্ষা করতে সক্ষম হন। এ সময় সহকারী কমিশনার ভুমি -বন বিভাগের কর্মকর্তাদের প্যারাবন নিধনকারী ও ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেন। তিনি এ নিয়ে স্থানীয় জনগণকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা- যে কোনো মুহূর্তে অতিথের মতো রাতের আঁধারে এখনে আবারও দখল ও প্যারাবন নিধণের কাজ শুরু হতে পারে। তাই তারা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।