Advertisement


মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের খবর


রকিয়ত উল্লাহ ও নিজস্ব বার্তা পরিবেশক।।
  জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে মাতারবাড়িতে ১২শ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলমান। উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা হবে সঞ্চালন লাইন।

প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্ষমতার উন্নয়ন ও নিশ্চিতকরণ করা হবে।

যার প্রভাব পড়বে পুরো বাংলাদেশে। এজন্য ‘মাতারবাড়ি-মদুনাঘাট ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ প্রকল্প চলমান।

এই চলমান প্রকল্পের ব্যয়-সময় বাড়ছে।
মঙ্গলবার (১ জুন)  প্রকল্পটি সংশোধেনর জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।

মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। এখন নতুন করে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাড়াচ্ছে ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। ফলে মূল প্রকল্প থেকে সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২৩৩ কোটি টাকা। জুলাই ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিল। এখন প্রকল্পের সময় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে জুন ২০২২ পর্যন্ত।

শিল্প ও শক্তি বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) কামরুন নাহার বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ ছাড়া দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রকল্পের সময়-ব্যয় বাড়ছে। সংশোধনের জন্য মঙ্গলবার প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ ঢাকায় সঞ্চালনের জন্য এ দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাট থেকে চট্টগ্রাম জেলার মদুনাঘাট পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নানা কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে। সংশোধিত প্রকল্পে ডিপিপিতে কন্টিনজেনসি খাতে ব্যয় ২৫ কোটি টাকা কমছে। প্রকল্প অনুযায়ী সঞ্চালন লাইনের দৈর্ঘ্য ৯২ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছিল। বাস্তবতার নিরিখে অনুমোদিত রুট অনুযায়ী প্রকল্পের নির্মাণাধীন লাইনের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৬০ কিলোমিটার ও ৩৪টি টাওয়ারসহ প্রয়োজনীয় কন্ডাকটার, ইনসুলেটর, হার্ডওয়্যার ফিটিংসের পরিমাণ বাড়বে।


৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের এই মুহূর্তের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে বিদেশি অর্থায়ন (জাইকা) থেকে ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা, সরকারি খাত থেকে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা মেটানো হবে। ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ইউনিট থেকে ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে মাতারবাড়ি থেকে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভরশীল। প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ৭শ কেজি স্ট্যান্ডার্ডের প্রয়োজনীয় পরিমাণ কয়লা আমদানি করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে প্রতি টন কয়লার দাম ১০ হাজার ২৫৫ টাকা ৫০ পয়সা ধরা হয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দিতেই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।