Advertisement


মহেশখালীতে কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না


ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ।।
গিজগিজ করতে থাকা মানুষের এ জটলা ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটের, করোনা সংক্রমনের উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্বেও সামাজিক দুরত্ব যেনো এখানে রূপ কথার গল্প। মহেশখালীর কালারমারছড়াসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পশুর হাট বসেছে স্ব্যস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্বেও ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে মাস্ক পরতে দেখা গিয়েছে অনীহা। তবে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো।


কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে লকডাউন শিথিল করে পশুর হাটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত হিসেবে প্রশাসনিক কিছু বিধিবিধান মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। যার প্রধান বিষয় হলো পশুর হাটগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। অর্থাৎ করোনা রুখতে মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবাইকে স্বাস্থ্যসচেতন থেকে সরকারি বিধি মানতে হবে। এমন শর্ত পালনের অঙ্গীকারে পশুর হাট চালু হলেও বাস্তবে শর্ত বা বিধিবিধানের কথা সবাই ভুলে গেছেন। ফলে সব হাটই এখন চলছে গাদাগাদি অবস্থায় উপচে পড়া ভিড়ে মানুষ-পশু একাকার হয়ে।
 
এদিকে কোরবানির হাটে গত বছরের তুলনায় পশুর মূল্যে নিয়ে দেখা গিয়েছে বিশাল তফাত। কাঙ্ক্ষিত মূল্য নিয়েোিসুা পশু বিক্রি করতে না পারায় শঙ্কিত বিক্রেতা। ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক দাম না পেলে ছাড়ছেন না পশু। আগামিকাল হাটের শেষ বাজারে পশুর দাম কমে আসার সম্ভবনা আছে বলে মনে করছেন ইজারাদাররা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পশুহাটের যে ভয়াবহ চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, এখান থেকে আশপাশের গ্রামগুলোতে করোনা ছড়াবে। খামারিদের কথা বিবেচনা করে এ মুহূর্তে গরুর হাট চালু রাখা জরুরি। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান মহেশখালীর সব খবরকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইজারাদারদের। রাস্তার ওপর যাতে হাট না বসে সেজন্য প্রয়োজনে কম গরু হাটে তুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যদি নির্দেশনা না মানে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।