গভীর রাতে আমিনুল হক এর রিপোর্ট।। মহেশখালী সোনাদিয়ার চরে একটিি লাশ ভেসে আসার খবর পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কাইছার হামিদের নির্দেশক্রমে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রতুল কুমার শীল ও এসআই সুমিত বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গভীর রাতে সোনাদিয়া গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তবে লাশটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে তিনটায় পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রতুল কুমার শীল। এব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রতুল কুমার শীল।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে -লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে লাশটি হয়তো সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে নিখোঁজ হয়েছে।
এদিকে সোনাদিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান- গতকাল মাগরিবের আগে জোয়ারের তোড়ে সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়া এলাকার সৈকতে লাশটি ভেসে আসে। স্থানীয় জেলেরা লাশটি দেখতে পেয়ে গ্রামের লোকজনকে খবর দেন, পরে লোকজন গিয়ে একই চিত্র দেখেন। তারা বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও মহেশখালী থানা পুলিশকে জানান।
ইউনিয়নটির সোনাদিয়া ওয়ার্ডের মেম্বার একারাম মিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- আনুমানিক ২৭-২৮ বছর বয়সি লাইফ জ্যাকেট পরা এ মরদেহটি হেডফোন ও হাল্ফ প্যান্ট পরা আছে। তাদের কাছে পর্যটক বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির লাশ মনে হওয়ায় তারা লাশের কাছে যায়নি, ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশকে খবর দেয়। তবে প্রথমে কেউ একজন লাইফ জ্যাকেটটি খুলে দেখেছে বলে ধারণন স্থানীয়দের।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. শেখ কামাল জানিয়েছেন- রাত ৮টার দিকে খবর পাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম লাশটি দেখে এসেছে, এটি একটি তরতাজা লাশ। প্রাথমিক ভাবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
এদিকে এটি কোনো পর্যটকের মরদেহ বলে ধারণা করছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম গভীর রাতে সোনাদিয়ায় পৌঁছানোর লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যান। বিষয়টি বিশদ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে -জানান মহেশখালী থানার ওসি মো. কাইছার হামিদ।