Advertisement


মহেশখালী উপকূল থেকে কুতুবদিয়ার ৩ জলদস্যু আটক


রকিয়ত উল্লাহ।। 
মহেশখালী উপকূল থেকে ৩ জলদস্যুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রবিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কুতুবজোম তাজিয়াকাটা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মহেশখালী থানার মাধ্যমে কুতুবদিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কুতুবদিয়া থানা জানাচ্ছে - তারা জলদস্যুতা সংক্রান্ত একাধিক মামলার আসামি।

কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় জলদস্যূ সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। পুলিশ ও কোস্টগার্ড বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

মহেশখালী থানা সূত্র জানায় -আটকরা হলো, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং নাথপাড়ার বাদশা মিয়ার পূত্র আনিসুল ইসলাম ছোটন (৩৪), দক্ষিণ ধুরুং অলি পাড়ার আহমদ ছৈয়দের পূত্র আজিজুর রহমান (৩৭) ও মুসা সিকদার পাড়ার মঞ্জুর আলমের পূত্র রায়হান (৩১)।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই তিন ব্যক্তি বঙ্গোপসাগরের ট্রলারে ডাকাতি করে তাজিয়াকাটা ঘাট হয়ে কুলে ফিরছিল।

তাজিয়াকাটার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিন ব্যক্তি সোনাদিয়া থেকে বোটযোগে তাজিয়াকাটা ঘাটে নামে। তাদের দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এসময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ২-৩ দিন আগে বাঁশখালীর তৈয়ব উল্লাহ, আব্দুল গফুর ও আব্দু শুক্কুরের মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতিতে সম্পৃক্ত ছিল বলে স্বীকার করে।

তাদেরকে আটকের পর মহেশখালী থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান -স্থানীয়রা ৩ দস্যুকে আটক করার সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে বলে জানাগেছে। পরে তাদেরকে কুতুবদিয়া থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) ওমর হায়দার জানান -আটক হওয়া তিনজনই সম্প্রতি ডাকাতির প্রস্তুতি সংক্রান্ত একটি মামলার পুলিশের চার্সীটভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে আগের একাধিক মামলা থাকলেও ওসবে তারা আদালত থেকে জামিনে আছে বলে দাবি করছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তি আইনি উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে -এসব দস্যু মূলতঃ সোনাদিয়ার অপর এক দস্যু গ্রুপের কাছে এসেছিল। এ খবর পেয়েই স্থানীয়রা তাদেরকে আটকের উদ্যোগ নেয়।

প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি কুতুবদিয়ার অন্ততঃ ১৫টি মাছধরা ট্রলার আটক করে দস্যুরা প্রায় ৫০ জেলেকে অপহরণ করে। পরে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অনেকেই ইতোমধ্যে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছে বলে জানাযাচ্ছে।
রোকন//