Advertisement


প্রতিপক্ষে প্রভাবিত হয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক মগনামার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ

মগনামার কারাবন্ধি সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ চৌধুরীর স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক।। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ চৌধুরীর চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র অন্যায়ভাবে বাতিলের অভিযোগ উঠেছে। ৪ নভেম্বর পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও মগনামা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে যাচাই-বাচাইয়ে বৈধ ঘোষনা করা হলেও গতকাল ৯ নভেম্বর কক্সবাজার জেলার নির্বাচন অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

প্রতীক বরাদ্দের আগমুহুর্তে মনোনয়নপত্রের এমন বাতিল ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে। ইউনুচ চৌধুরীর স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন -প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কাছে ম্যানেজ হয়েই সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে তার স্বামীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

লিখিত বক্তব্যে জন্নাতুল ফেরদৌস বলেন -একটি ষড়ন্ত্রমূলক মামলায় গত বেশ কিছু দিন ধরে তার স্বামী কারাগারে রয়েছেন। এরইমধ্যে ইউপি নির্বাচন তফশীল ঘোষণা হয়। ঘোষিত তফশীল মতে- চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার স্বামী কারাগারে থাকলেও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যান পদের মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তার স্বামী মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করে কর্তৃপক্ষের প্রত্যায়ন স্বাক্ষরসহ তফশীল মতে যথাসময়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। গত ২ নভেম্বর মগনামা ইউনিয়নের প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাচাই-বাছাইকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইউনুচ চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন মগনামার চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের নিজের লোক হিসেবে পরিচিত চেয়ারম্যান পদে তার ডামি প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন।

সেদিন উপজেলা নির্বাচন অফিসে র্দীঘ শুনানি শেষে সকল কাগজপত্র যথাযথভাবে পাওয়া যাওয়ায় মো. ইউনুচ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রোজাউল করিম। এতে গিয়াস উদ্দিনের দায়েরকৃত অভিযোগটিও খারিজ হয়ে যায়।

ইউনুচ চৌধুরীর স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস আরও জানান- পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে তার স্বামী মগনামার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুচ চৌধুরীর মনোনয়ন বৈধ হলেও তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে মগনামার বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াসিম তার কর্মচারী ও ডামি চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনকে বাদি বানিয়ে গত ৭ নভেম্বর ইউনুচ চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র বাতিলের জন্য কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে আবারো আপীল আবেদন দায়ের করেন। এরপর উক্ত আপিল শুনানীর জন্য গত ৯ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন জেলা নির্বাচন অফিসার। এরইমধ্যে মগনামায় ওয়াসিম বাহিনীর হাতে অসংখ্যবার অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার ইউনুচ চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করানো জন্য ব্যাপক দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দেন চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমসহ তার কর্মচারী গিয়াস উদ্দিন। জেলা নির্বাচন অফিসার মগনামার চেয়ারম্যান ওয়াসিমের কর্মচারী ও ডামি চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে মোটা অংকে ম্যানেজ হয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পূর্ন অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্যভাবে মগনামার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুচ চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দেন।

তিনি প্রশ্ন করে বলেন -"উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হবার তিন দিন পর তা আবার জেলা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ে বাতিল হয় কোন আইনে? কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকে ম্যানেজ হয়ে আমার স্বামীর বৈধ মনোনয়ন পত্র বাতিল করে বর্তমান সরকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।"


মো. ইউনুচ চৌধুরীর স্ত্রী অবিলম্বে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে জোর দাবি জানান এবং তার স্বামীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া থেকে।।