Advertisement


সরকারি কাজে অনিয়ম, মহেশখালীতে উদ্বোধনের আগেই স্কুলের বহুতল ভবনে ফাটল

উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতি


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধিন উপকূলীয় ও ঘুর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওয়াতায় উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয় বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের বহুতল ভবন উদ্বোধনের আগেই বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে। ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ভবনের নিচ তলার দেওয়াল,সিড়ির দেওয়াল,দ্বিতীয় তলার কয়েকটি  ক্লাস রুমের দেওয়ালে বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা যায়।

এলাকাবাসীরা জানান, ভবন নির্মাণের সময় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে  নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের কথা জানালেও তা আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটলের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় বিষয় খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষে। অন্যদিকে উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা যাওয়া ক্লাস কার্যক্রম নিয়ে আতংকে ছাত্র-ছাত্রীরা। ১০শ্রেণির ছাত্র আব্দুল আজিজ জানান, টেকসই ভবন নির্মাণ না হওয়ায় ক্লাস শুরুর আগেই বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা আতংকিত।

সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দের এ ভবন নির্মাণের কাজ পায় চট্টগ্রামের ঠিকাদারি  প্রতিষ্ঠান এম/এস ইকবাল এন্ড ব্রাদাস।২০১৯ সালে ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর করেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক। এর পর থেকেই নিম্নমানের ইট, বালি, সিমেন্ট ও রড় দিয়ে ভবনটির নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা নিম্নমানের কাজে বাঁধাদিলেও আমলে নেননি উপজেলা পিআইও অফিস। ফলে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নয়ছয় করে কয়েক মাস পূর্বেই, নিম্নমানের বেসিন, পানির কল, টাইলস,অটো সার্কেট সুইচ,রিজার্ভ ট্যাংকের পানির তোলার পাম মোটর, সৌর বিদ্যুতের  লাইন না দিয়েই নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত মোঃ কাজলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

এ প্রসঙ্গে উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলম জানান, নব নির্মিত ভবন   উদ্বোধনের আগেই বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এটা নিয়ে সবাই আতংকিত। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।  

মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, ভবন ফাটলের বিষয়টা শুনেছি। বর্তমানে টেনিং সংক্রান্ত কাজে ঢাকা থাকায়  তিনি সরেজমিন যেতে পারছেন না, প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, ভবনটি এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝিয়ে নেওয়া হয়নি। কাজে কোন রকম অনিয়ম পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।