তার নাম সোহাদ হক। বয়স ১৯ বছর। তিনি দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়, থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহাম্মদ মুহসীন হলে।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সহপাঠীরা তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক বেলা ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী সোহাদ আর নেই। আমরা ঢাকা মেডিকেলে আছি এবং সেখানে তার পরিবারের লোকজনও এসেছে। তার মেডিকেল রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। ঠিক কী কারণে মারা গেল তা মেডিকেল রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।
সোহাদের বন্ধু ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতেছিলাম। সাঁতারের একপর্যায়ে ও মাঝখানে চলে যায়। সেখানে ডুবে গেলে আমরা তাকে টেনে তুলে আনি এবং পেটে চাপ দিলে কিছুটা পানি বের হয়ে আসে।
তিনি বলেন, পানি বের হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে রিকশায় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।