Advertisement


আজ ১০ মার্চ: পাক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়


মুহম্মদ হেলাল উদ্দিন

উত্তাল মার্চের ১০ম দিন ছিল অনেকটা প্রত্যাশিত। এদিন বিভিন্নমুখী চাপে পাক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো স্বীকার করে তারা নিরস্ত্র বাঙালীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এবং মানুষ হত্যা করেছে। এদিন দুপুরে পাক সরকার এক ঘোষণায় জানায় যে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংঘর্ষে শতাধিক নিরস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়। 

৭ মার্চের পর থেকেই মূলত এদেশের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন জাতির জনকের আহ্বানে মুক্তি সংগ্রামে একাত্মতা প্রকাশ করে আসছিলেন। বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মচারী, পেশাজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ অনেক গোষ্ঠী মুক্তি সংগ্রামে তাদের অবস্থান জানিয়ে বিবৃতি ও আন্দোলনে সামিল হচ্ছিল। ৯ মার্চ এ দলে যুক্ত হয় বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। তারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে এদিন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।
স্বাধীন বাংলাদেশ সংগ্রাম পরিষদও এদিন একটি যুক্তবিবৃতি দেয়। তারা বাংলাদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককে স্বাধীনতা সংগ্রামে নিয়োজিত প্রতিটি মুক্তিসেনাকে সকল প্রকার সাহায্য করার অনুরোধ জানান। 

ইতোপূর্বে পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙালীরা দেশে ফিরতে চাইলে জান্তা সরকার তাদের দেশে ফিরতে বাধা দিলে এর প্রতিবাদে স্বাধীন বাংলাদেশ সংগ্রাম পরিষদ এদিন পাকিস্তান থেকে বাঙালিদের আসতে না দিলে বিমানবন্দরে চেকপোস্ট বসিয়ে অবাঙালিকে দেশত্যাগ করতে না দেওয়ার হুমকি দেয়। মানসিকভাবে দূর্বল হতে থাকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী।