Advertisement


কালারমার ছড়ার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত তারেক বিন ওসমান শরীফ


বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালীর কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফকে আনন্দ—উচ্ছ্বাস আর ফুলে ফুলে বরণ নিয়েছে কালারমারছড়াসহ পুরো মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষ। তিনি কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে কক্সবাজার হয়ে মহেশখালীতে ফিরলে হাজারো জনতা বিশাল শোডাউন করে। ফুলেল শুভেচ্ছা,  হাজারো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে কালারমারছড়ার হাজার হাজার মানুষ তারেক শরীফকে মহেশখালী জেটিঘাট থেকে বরণ করে নেন। পরে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নেন। এরপর দলীয় নেতাকমীর্দের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে বিশাল শোডাউন সহকারে কালারমারছড়ার দিকে রওনা হন। শোডাউনে তার সমর্থকেরা নাচেগানে মেতে উঠেন। কয়েক’শ গাড়ির প্রায় এক কিলোমিটার বহরের শোডাউনে এক উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। 

উপজেলা সদর থেকে শুরু করে বড় মহেশখালী, হোয়ানকসহ পথে পথে হাজার হাজার নারী—পুরুষ সড়কের দু’পাশে তারেক শরীফকে অভিবাদন জানান। হোয়ানক থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অগণিত মানুষ। সমর্থকদের শুভেচ্ছার জবাবে কৃতজ্ঞতার জানান তিনি। পথের স্থানে স্থানে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করা হয় শতাধিক তোরণ।

শোডাউনটি সন্ধ্যা নাগাদ কালামারছড়া বাজার মাঠে পৌঁছে। সেখানে আগে থেকে সমবেত হন হাজারো জনতা। একসময় কালারমারছড়া মাঠ জনসমুদ্রে রূপ নেয়। তারেক বিন ওসমান শরীফ পৌঁছালে জয় বাংলা, জয় বাংলা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে পুরো এলাকা। পরে বিশাল জনসম্মুখে বক্তব্য দেন তিনি।


বক্তব্যে তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেছেন, তিনি তৃণমূল আওয়ামী লীগের সমর্থিত বলে শেখ হাসিনা এবার তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। গতবারেও তিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে শেষে নৌকার মনোননয়ন পাননি। তারপরও জনসমর্থনে বিশাল ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।


তিনি আরো বলেছেন, গত পাঁচবছরে তিনি সরকারি বরাদ্দের একটি টাকাও মেরে খাননি। পুরো এলাকার রাস্তাঘাটের সমান উন্নয়ন করেছেন। বিচার—সালিশে কোনো পক্ষপাতিত্ব বা অনিয়ম করেননি। এই কারণে সরকার কালারমারছড়াকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে নির্বাচত করেছে। আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দেড় বছরের মধ্যে অবশিষ্ট উন্নয়ন কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।


তারেক বিন ওসমান শরীফের শোডাউনে অংশ নেন মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি ফরিদুল আলম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাস্টার রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দুল কাদেরসহ অসংখ্য উপজেলা ও তৃণমূল নেতাকমীর। 


এদিন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোননয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলেন, যারা শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী তারেক বিন ওসমান শরীফের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন তাদের আর কখনো দলে ফেরার সুযোগ হবে না।


প্রসঙ্গত, তারেক বিন ওসমান শরীফ আসন্ন  ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি আগামী ১৫ জুন নির্বাচনে লড়বেন।