এই পরিস্থিতিতে ফসল তোলার অনিশ্চয়তায় পড়েছে কৃষকরা। কালারমার ছড়ার নোনাছড়ি পশ্চিমপাড়া থেকে কালাপাড়া, কালাগাজি পাড়া, হোয়ানক পশ্চিম পাড়া-সহ প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কৃষি জমিতে বিস্তৃত আছে ফসলি মাঠ। এসব জমির ধান ক্ষেত, পানের বরজ ক্ষতির মুখে পড়েছে সিত্রাংয়ের প্রভাবে লবণাক্ত পানির কারণে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে নোনাছড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকার ধানক্ষেত। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে পাকা আমন ধান। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নোনছড়ি এলাকার ধান চাষি জয়নাল আবদীন জানিয়েছেন- আমাদের ধান জমির পাশেই রয়েছে লবণ মাঠ ও বিশাল খাল ও ছড়া। খাল দিয়ে ঢুকে পড়া সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের পানিতে সয়লাব হয়ে পড়ে মাঠের ক্ষেত। কেবল আমাদের ইউনিয়নেই প্রায় ৩০০ একর জমির ধানক্ষেত মরে গেছে।’ তিনি জানান, এবারের জলোচ্ছ্বাসের পানি ছিল লবণাক্ত। পানি নেমে যাওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই ধানক্ষেতসহ অন্যান্য গাছপালা মারা যাওয়া শুরু করে। এখন মাঠজুড়া ধানক্ষেত সবই লালচে রংয়ের মরা দৃশ্য ভেসে উঠেছে। প্রথম কয়েকদিন এরকম ক্ষতির চিত্র চোখে পড়েনি। গত দুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে লবণাক্ত পানির ছোঁয়া যতদূর গেছে ততদূরেরই সমস্ত ক্ষেত ও ফসল সবই মরে গেছে।
এলাকার আজগর বাপের ঘোনা ও লম্বা ঘোনা দিয়ে ঢুকে পড়া সামুদ্রের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ধানক্ষেতের অপর এক কৃষক বলেন- ‘আমার দুই একর জমির ধানক্ষেতে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সবই মরে যাওয়ায় আমি একদম পথে বসে গেছি। নোনছড়িসহ মহেশখালীর বাসিন্দাদের এখন সিত্রাংয়ের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ঘরে ঘরে হাহুতাশ চলছে। অন্যদিকে -মাঠের যেসব ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের হাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি সহায়তা যাতে পৌঁছানো যায়; সরকারকে এ দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।