Advertisement


মহেশখালীতে কমিউনিটি ক্লিনিকে হামলা, কর্মকর্তাকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক।।
মহেশখালীর হোয়ানকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কমিনিটি ক্লিনিকে হামলা, লুটপাট ও ক্লিনিকটির দায়িত্বরত সিএইচসিপির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের হামলার মুখে ওই কর্মকর্তা পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে- ২৬ মার্চ বেলা ১২ টার দিকে হোয়ানকের ছনখোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি গোলাম মোস্তফা স্বাধীনতা দিবসের কার্যক্রম শেষে তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ক্লিনিকের নিচে স্থানীয় একদল লোক পাশ্ববর্তী বরজ থেকে আনা পান স্তুপ করে তা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছিল। ক্লিনিকের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা এভাবে পানের কাজ করে ক্লিনিকের পরিবেশ কেন নোংরা করা হচ্ছে? - জানতে চাইতেই তারা গোলাম মোস্তফার উপর চড়াও হয়। আক্রমনের মুখে এক পর্যায়ে কোলের শিশুপুত্র ও  আত্মরক্ষার্থে ক্লিনিকে পাওয়া কাগজ কাটার এন্টি কাটার দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালিয়ে তিনি দ্রুত ওই স্থান থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালান। এরইমধ্যে লাটি ও পানের ভার বহনের কাঠের অংশ দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে কয়েকজন পথচারীর এগিয়ে এলে তাদের সহয়তায় শিশু সন্তানসহ গোলাম মোস্তফা পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ভেতর থেকে বাড়ির দরোজা আটকে দেন।

এরই মধ্যে হামলাকারিরা ওই বাড়িতেও উপর্যুপরি হামলা ও ভাংচুর করে এবং বাড়ির টিন কেটে ফেলে তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ সময় গোলাম মোস্তফা জীবন বাঁচাতে ফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মহেশখালী থানার সহযোগিতা কামনা করেন। পরে দ্রুত মহেশখালী থানা থেকে একদল পুলিশ গিয়ে ওই বাড়িতে বন্দিদশা থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এদিকে ভিকটিম গোলাম মোস্তফার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের ধারাবাহিক হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তারা বেশ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

জানা গেছে- এলাকায় ওই ক্লিনিকটি স্থাপনের পর থেকে স্থানীয় একটি চক্র নানা ভাবে ক্লিনিকে কর্মরতদের বিরুদ্ধে লেগে আছে। বিগত সময়েও এখানে এমন হামলার ঘটনা ঘটেছিলো, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিলো গোলাম মোস্তফাকে। তখন এ ঘটনায় উপজেলা হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছিলেন। এ মামলার জের ধরেই আজ পরিকল্পিত ভাবে ফের হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা।

এ অবস্থায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গের কাছে ওই পরিবারের নিরাপত্তা ও সরকারি দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা কামনা করছেন তারা। এবং এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।

এদিকে সঙ্ঘবদ্ধ এ চক্রটি ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূল তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এমন মিথ্যা প্রচারে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।