আমি মোঃ জাবেদ (৪০) পিতা-মৃত হাজী রুহুল আমিন, সাং-ডেইলপাড়া, ছোট মহেশখালী, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার এর বাসিন্দা হই।
আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে নিন্মোল্লেখিত ব্যক্তি যথাক্রমে ১। আবদু রশিদ (৪২) পিতা-মৃত জালাল আহামদ। ২। মোঃ কবির (৪০) পিতা-ঐ, উভয় সাং-দক্ষিনকুল, ছোট মহেশখালী। ৩। আবুল হোসেন (৪৫) পিতা-মৃত উমর হাকিম, সাং-আহমদিয়াকাটা, ছোট মহেশখালী। ৪। আলী হোসেন (৩৬) পিতা-মৃত জালাল আহামদ ৫। মোঃ সিরাজ (৩৮) পিতা-মৃত জালাল আহামদ ৬। মোঃ জিসান (২০) পিতা-আবদু রশিদ, সর্বসাং-দক্ষিনকুল, ছোট মহেশখালী, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজারসহ আরো ২/৩ জন লোক মিলে গত ১৬ জুর বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে ছোট মহেশখালী দক্ষিনকুলস্থ ২নং ব্যক্তির বসত ভিটা আমার লোকজনের উপর প্রকাশ্যে হামলা করে। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে।
মূলতঃ আমি ফিসিং বোট দ্বারা সাগরে মৎস্য আহরণের মাধ্যমে ব্যবসা করি। উপরোক্ত ২নং ব্যক্তি আমার বোটে মাল্লা হিসাবে বোটে যাওয়ার অঙ্গীকারে নগদ ১,৫০,০০০/- টাকা নগদ গ্রহন করে বোটে যায় নাই। আমি আমি তার নিকট থেকে টাকা ফেরৎ চাইলে সে দিবে দিচ্ছে করে নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করে আসতে থাকে। উপরোক্ত ৩নং ব্যক্তি গত ১৬ জুন বিকাল বেলায় ১নং ব্যক্তির বাড়ীতে যায়। সংবাদ পেয়ে আমার ফুফাত ভাই আবদু রহিম, ডেইল পাড়া এলাকার আবদুল মাবুদ ও আমার বোটের মাঝি জাগির হোসেনকে আমি ১নং ব্যক্তির বাড়ীতে পাঠাই। ঐ দিন বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার সময় ছোট মহেশখালী দক্ষিনকুলস্থ ১নং ব্যক্তির বাড়ীতে যায় এবং ৩নং ব্যক্তি হতে আমার পাওনা টাকা ফেরৎ চায়। এ সময় উল্লেখিত ব্যক্তিগণসহ সঙ্গীয় আরো ২/৩ জন মিলে লোহার রড, লাঠিসোটা ইত্যাদি সহকারে বে-আইনী জনতা গঠন পূর্বক আমার ফুফাত ভাই আবদু রহিম, ডেইল পাড়া এলাকার আবদুল মাবুদ ও আমার বোটের মাঝি জাগির হোসেনকে আক্রমন করে লোহার রড ও লাঠিসোটা দ্বারা আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। এ সময় তাদের শোর চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে উপরোক্ত ১নং ব্যক্তি আমার ফুফাত ভাইয়ের ব্যবহারের ১২,৫০০/- টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন, ২নং ব্যক্তি আবদুল মাবুদের কাছ থাকা নগদ ১৭,২০০/- টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় এই বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে মারপিট খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে এলাকার লোকজনেরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
পরে একইদিন সন্ধ্যায় গোরকঘাটা বাজারে মূল হামলাকারীর আপন ভাই নাম কবির আহমদ এর সাথে আমার দেখা হলে আমি হামলার বিষয়টি তার কাছে জানতে চাই। এ সময় তিনি সদুত্তর না দিয়ে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর আক্রমন করে বসে। এতে আমার গলায় ও হাতে আঘাত প্রাপ্ত হই।
পরে এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে মহেশখালী থানায় উপোরোল্লিখিত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলার এজাহার দায়ের করি। বিষয়টি তদন্তাধিন রয়েছে।
এদিকে পাওয়না টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো হামলা করার ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে মূল ঘটনাকে ভীন্নখাতে প্রবাহিত করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে মহেশখালীর সব খবরে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনকে এ নিয়ে বিভ্রান্তি না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে হামলার সুষ্ঠু বিচার ও আমার পাওয়না টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিবেদক:
মোঃ জাবেদ (৪০) পিতা-মৃত হাজী রুহুল আমিন, সাং-ডেইলপাড়া, ছোট মহেশখালী, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার।
