Advertisement


জিয়াবুল হত্যা মামলাঃ মাতারবাড়ির চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জামিনে মুক্ত


বিশেষ প্রতিনিধি।। মাতারবাড়ির আলোচিত যুবলীগ নেতা জিয়াবুল হত্যা মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন মাতারবাড়ির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ। আজ ঢাকার উচ্চ আদালত থেকে তিনি এ জামিন নেন। মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিল। এদিকে তার জামিনের সংবাদে মাতারবাড়িতে তার কর্মী সমর্থকদের মাঝে বেশ আনন্দ উল্লাস দেখা দিয়েছে।

জানাযায়, গত ১৬ আগস্ট বুধবার মাতারবাড়ির একটি বাজার এলাকায় দিনদুপুরে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে জখম করা হয় স্থানীয় যুবলীগ নেতা জিয়াবুল হককে। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওখানেই তার মৃত্যু হয়। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের পরিবার থেকে দাবী করা হচ্ছিল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর সাথে বিরোধের জের ধরে তার ইন্ধনেই এ হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে।

অপরদিকে মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার পরিবার এমন অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলে নিজেদের অশুভ স্বার্থকে
চরিতার্থ করতে এমন একটি হত্যাকাণ্ডের সাথে তার নাম জড়ানো হচ্ছে। মূলত: এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এমনটি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন -এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে অবস্থাননেওয়ায় স্থানীয় একটি মহল তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ অবস্থায় তারা এলাকার এ হত্যাকাণ্ডের সুযোগটিকে কাজে লাগাতে চায়।


হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৬৪ ঘণ্টা পর মহেশখালী থানায় এ নিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টারমোহাম্মদ উল্লাহকে। এদিকে মামলায় বিনা তদন্তে একজন জনপ্রতিনিধি আসামি হওয়ায় ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে আসছিল মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। এ নিয়ে গতকালতারা মহেশখালী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে আসেন।

এদিকে আজ দুপুরে ঢাকার উচ্চ আদালতে মামলার ১ নম্বর আসামি মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনে মুক্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান -এতে তিনি মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন, একই সাথে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মাতারবাড়ির আপামর শান্তিপ্রিয় জনতার প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা তার জন্য প্রাণখুলে দোয়া করেছেন বলে তিনি আজ জামিনে মুক্ত হতে পেরেছেন বলে জানান। মামলার কারণে এবার এলাকাবাসীর সাথে ঈদ করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।