Advertisement


মহেশখালীর সবজি বাজারে হঠাৎ আগুন, বিপাকে ক্রেতারা


কাব্য সৌরভ||

মহেশখালীতে সবজির বাজারে আগুন, এতে পুড়ছে সবজির বাজার নয় খেটে খাওয়া মানুষের পকেট। শীতের মৌসুমেও কমেনি সবজির দাম, মহেশখালীতে সবজির বাজার গুলোতে হু-হু করে বাড়তে শুরু করেছে মৌসুমি সব সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

মহেশখালীতে বিভিন্ন সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে টমেটোর দাম-১০০ টাকা, শসা-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ-১২০ টাকা, বেগুন-৮০ টাকা, শিম- ১০০টাকা, আলু-৬০টাকা, ঢেঁড়স-৯০ টাকা ও পেঁয়াজ-৮০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

করোনাকালে এই লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজারে প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হোয়ানক ইউনিয়নের দিনমজুর জামাল হোসেন জানান, তিনি দৈনিক মজুরি করে ৪'শ টাকা পান ৮ জনের সংসারে নিত্যপণ্যে কিনতেই চলে যায় সব টাকা চাউল কেনার টাকা থাকেনা। তার উপর আবার প্রতিদিন মজুরীর কাজ পাওয়া যায় না।

কালারমার ছড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ জানান, তারা বদরখালী ও চকরিয়া থেকে গাড়ী ভাড়া দিয়ে এসব সবজি এনে মহেশখালীতে বিক্রি করেন। তাদের কেনা দামের চেয়ে মাত্র ৫/১০ টাকা লাভ করে এসব সবজি বিক্রি করেন। কেনা দামের চেয়ে লোকসান দিয়ে তো আর বিক্রি করা যাবে না।

আড়তদার জসিম জানান, চাহিদার চেয়ে এই শীতে সবজির উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির দাম ঊর্ধ্বগতি বাজার গুলোতে।

বাজারে শীতকালীন সবজির চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় কিছু অসাধু আড়তদারের কারসাজিতে সবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের এই লাগামহীন পরিস্থিতি বলে মনে করেন তারা। এখনই প্রশাসনের সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুইচিং মং মারমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁর মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।