Advertisement


এলএ শাখায় চেক ও খাজনা রশিদ জালিয়াতির মূলহোতা হোছন ড্রাইভার বহাল তরিয়তে


রকিয়ত উল্লাহ।।

কক্সবাজার এলএ শাখায় চেক ও খাজনা রশিদ জালিয়াতির মূলহোতা তহসিলদার জয়নালের প্রধান সহযোগী হোছন ড্রাইভার বহাল তরিয়তে। এলএ শাখায় নির্বিঘে দালালি করে যাচ্ছে এই তালিকাভুক্ত দালাল হোছন ড্রাইভার। এই জালিয়তকারী খপ্পরে পড়ে বিপাকে পড়েছেন এলএ অফিসের কর্মকর্তারা। দুদক তদন্ত করলে অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে। সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত একটি পক্ষ দুদক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চিহ্নিত দালাল হোছন ড্রাইভারের বিরুদ্ধে।

কক্সবাজার এলএ শাখায় চেক ও খাজনা রশিদ জালিয়াতি করে এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক ভয়ংকর জালিতকারী হোছন ড্রাইভার

 নজরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন এলএ শাখায় যত জালিয়াতি হয়েছে সবকিছুতেই এই প্রতারক হোছন ড্রাইভারের হাত রয়েছে। বর্তমানে জেলা বিএনপি অফিসকে দালালির অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে এই প্রতারক। এলএ শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় দুইজন বহিরাগত কর্মচারী দোলন দে নিরব অপর

একজনের মাধ্যমে এই জালিয়াতি করে যাচ্ছে এই প্রতারক। সম্প্রতি দায়িত্ব নেওয়া এলও কে অনেকটা বোকা বানিয়ে ওই দুই কর্মচারীর মাধ্যমে একাধীক চেক ঘষামাজা করে একজনের টাকা অন্যজনকে তুলে দিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককেও প্রতারণা করা হয়েছে।

 আরেক ভুক্তভোগী শওকত আলী জানিয়েছেন আমার কোন দস্তকত ছাড়াই হোসেনর ড্রাইভারের নেতৃত্বে একটি দালাল চক্র টাকা তুলে নিয়েছে। একাউন্টের মালিকের দস্তকত ছাড়াই তুলে নেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। কক্সবাজারস্থ ব্রাক ব্যাংকের ম্যানেজার এই প্রতারণা কথা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি এলওকে অবহিত করা হয়েছে।

এবিষয়ে হোসন ড্রাইভারের সাথে যোগাযোগ করে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,  আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ দিচ্ছে তাদের চেক আমি কিভাবে তুলে দেব?  আর কিভাবে কমিশন নেব? যারা অভিযোগ করতেছে তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে বলে জানান।

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন জানান, যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত আছে এবং যে অভিযোগ গুলো আসতেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।