Advertisement


৮৫ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতার যোগ্য না বড় মহেশখালীর বৃদ্ধা মরিয়ম?


আ ন ম হাসান।।
মহেশখালীর বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড শুকরিয়া পাড়া গ্রামের মৃত নুর আহমদের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন, আইডি কার্ড অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ২০ ই অক্টোবর ১৯৩৫, বর্তমানে বয়স প্রায় ৮৫ বছর। পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়- বর্তমান সরকারের হতদরিদ্রের জন্য ভিজিডি, দুঃস্হ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তদের জন্য ভাতা এবং বয়স্ক ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকল্প চলমান থাকলেও অতীব দুঃখের বিষয়  হতদরিদ্র বিধবা ৮৫ বছর বয়সী মহিলার ভাগ্যে জেটেনি কোন প্রকারের সরাকরি সুযোগ সুবিধা ।

আরও জানা যায়, করোনা মহামারীর সময় এনজিও সংস্হা ডব্লিওএফপি কর্তৃক দেওয়া নগদ টাকা ও চাল বিতরণ কর্মসূচীর তালিকায়ও অন্তর্ভূক্ত হয়নি এই বৃদ্ধার নাম। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ২৫০০ টাকার ঈদ উপহারও জোটেনি হতভাগ্য এই বৃদ্ধার কপালে ৷

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- বৃদ্বা মহিলা মরিয়ম খাতুন তার ছোট সন্তান আলি আহমদের কাছে রয়েছে ৷ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আলি আহমদ স্বল্প বেতনের নূরানি মাদ্রাসার শিক্ষক। বর্তমানে করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকটা উপার্জনহীন হয়ে পড়েন তিনি। 

বৃদ্ধা মরিয়ম খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রতিবেদককে দেখে বলে উঠেন, আমার স্বামী মারা গেছে বেশ কয়েক বছর আগে ৷ বর্তমানে আমি আমার ছোট সন্তান আলি আহমদের সাথে রয়েছি, করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সে কর্মহীন হয়ে পড়ছে ৷ তাই খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি ৷

হতদরিদ্র বৃদ্ধা মহিলা মরিয়ম খাতুন স্হানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিষয়ে স্হানীয় ১ নং ওয়ার্ডের এমইউপি সদস্য মোঃ আমিন (বাঁশি)র সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলা কেন সরকারি কোনো সুবিধা পাইনি এমন প্রশ্ন রেখে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন- বৃদ্ধা মহিলা কে আমার কাছে পাঠানোর ব্যবস্হা করেন, বিষয় টি আমি দেখবো।

এ বিষয়টি নিয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহ্ফুজর রহমানের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করে তাকে মহিলার ভিডিও ক্লিপ সহ ছবি ও আইডি কার্ড দিলে তিনি বিষয় টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।