Advertisement


মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কে ছিনতাই?

মাহবুব রোকন।। কালারমার ছড়ার সাথে মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কে শুক্রবার ভোরে দুর্ধর্ষ ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্ঘবদ্ধ ছিনতাইকারীর দলের হাতে এক পান ব্যবসায়ী সর্বস্ব হায়িয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র তথ্য দিচ্ছে। একই ভাবে তার সাথে থাকা আরও এক যাত্রীর কাছ থেকেও সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়। অনেকে এ ঘটনাটিকে ডাকতির মতো ছিল বলে জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। তবে এ নিয়ে কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

 
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী (তাদের মধ্যে সাংবাদিকও রয়েছেন) লিখেছেন -এ ঘটনার পর সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারি মাতারবাড়ি ও ধলঘাটার লোকজন আতংকিত রয়েছে। তারা ছিনতাই এর শিকার (তারদের ভাষায় ডাকাতি) ভিকটিম এর বরাত দিয়ে জানাচ্ছেন -৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ভোরে মাতারবাড়ির বাসিন্দা এক পান ব্যবসায়ী পান কেনার জন্য পার্শ্ববর্তী শাপলাপুর যাচ্ছিলেন। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে চড়ে ওই ব্যবসায়ী যখন কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলা ও মাতারবাড়ি সংযোগ সড়ক পয়েন্টে পৌঁছান -ঠিক তখনই ওই স্থানে পূর্ব থেকে অবস্থান করা ছিনতাইকারী দল মারণাস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ড্রাইভারকে বাইকটি থামাতে বাধ্য করে এবং ওই ব্যবসায়ীর কাছ থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মাতারবাড়ির ওই পান ব্যবসায়ীর নাম ফজলুল করিম বলে ফেসবুকের পোস্টগুলোতে উল্লেখ করা হচ্ছে। ফজলুল করিম এর সাথে একই বাইকে আরও একজন যাত্রী ছিলেন, নাম না জানা ওই যাত্রীর কাছ থেকেও ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয়। কালারমার ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য ঘটনার পরে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পান বলেও খবরে প্রকাশ। ওই ইউপি সদস্য এ ছিনতাই এর ঘটনার সাথে জড়িতদের প্রাথমিক ভাবে নামও পান বলে বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন। 

তবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দেওয়া তথ্য সঠিক হলে! -মহেশখালীতে ছিনতাই এর মতো (কারও কারও মতে ডাকাতি) ঘটনা ঘটলেও মাতারবাড়ি পুলিশ বিট এর ইন-চার্জ ও মহেশখালী থানা পুলিশ এ নিয়ে কিছুই জানেনা বলে জানিয়েছেন। রাত ১২ টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় মাতারবাড়ি পুলিশ বিটের ইন-চার্জ এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এনিয়ে কিছুই জানেন না এবং বিষয়টি কেউ তাদেরকে অবগত করেনি বলে তথ্য দেন। প্রায় একই কথা জানিয়েছেন মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আশিক ইকবাল। তিনি বলেন তারা ফেসবুকের মাধ্যমে জানলেও কেউ আসলে এ নিয়ে অভিযোগ জানায়নি। তারা বিষয়টির বিস্তারিত জানেন না। 

স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে -ভোরে ঘটনা ঘটলেও ছিনতাই এর মত স্পর্শকাতর বিষয়ে পুলিশ দিনভর আগবাড়িয়ে খবর নেওয়ার চেষ্টা করেনি, আবার অনেকে মনে করছেন ঘটনাটি আসলেই সত্য কী না -তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঘটনা সত্য হলে কেউ পুলিশকে জানালো না কেন? -এমন প্রশ্ন অনেকের।