Advertisement


মহেশখালীতে উন্নয়ন প্রকল্পে ইতিবাচক প্রচারণার তথ্য প্রকাশে কর্মকর্তাদের অনিহা!


রকিয়ত উল্লাহ।। কক্সবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। তার মধ্যেই মহেশখালী অন্যতম। মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প,কালারমার ছড়ার এসপিএম প্রকল্প, চাললেন রাস্তা, সিঙ্গাপুর প্রকল্পসহ,স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয় সহ ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রানালয় সহ  উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পর ইতিবাচক প্রচরণায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনিহা। 


তথ্য প্রদানসহ উন্নয়ন প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি বা চিহ্নিত সমস্যা নিয়ে বেশির ভাগই গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে। নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক  সংবাদ চলে যায় জনগণের দৃষ্টির বাহিরে। অথচ এটি জানলে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জনগণের একটি ইতিবাচক মনোভাব আসত। নিয়ম অনুযায়ী তথ্য চাইলে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় আবার অনেক সময় বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য ফরম কি তাও চেনে না। আবার অনেক সময় তথ্য পাওয়া গেলেই কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে কর্মকর্তারা। 


সরকারের জনবান্ধব উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে তথ্য দিতে বা কথা বলতে কোন গোলমাল  বা ঘাপলা থাকলে তা আলোচনায় চলে আসার ভয়ে তথ্য দিতে চাই না কর্মকর্তারা। যদি তা আলোচনায় আসে তা নিয়ে জটিলতায় পড়তে পারে এ ভয়ে গণমাধ্যম কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে। এদিকে সঠিক তথ্যে ও কর্মকর্তাদের অনিহায় উন্নয়ন প্রকল্পের ইতিবাচক প্রচরণা প্রকাশ করতে হিমসিম খায় গণমাধ্যমকর্মীরা। 


মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে থেকে শুরু করে, উপজেলার এলজিইডি অফিস, পিআইও অফিস,ফরেস্ট অফিস,কৃষি অফিস,সমাজসেবা,মহিলা বিষায়ক ও বিভিন্ন অধিদপ্তরসহ এবং মেঘা মেঘা উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনিহা প্রকাশ করে। এতেই সরকারের  উন্নয়নপর ইতিবাচক প্রচরণায় বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কর্মকর্তারা। 


এবিষয়ে মিডিয়া ইনিশিয়েটিভস রিসার্স ও গভেষণা শাখা কর্মকর্তা ড.এম মঞ্জুর বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে তথ্য দিতে চাই না কারণ, কোন বিষয়ে গাপলা বা অনিয়ম থাকলে তা আলোচনায় চলে আসলে সমস্যায় পড়তে হবে ভয়ে কেউ দায়িত্ব নিতে চাই না। এ কারণে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণের কাছে পৌঁছে না।