Advertisement


কালারমার ছড়ায় সরকারি ঘর দেওয়ার নামে প্রতারণা, যুবক আটক


আ ন ম হাসান।।
মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের বিভিন্নগ্রামে বিনামূল্যের সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কালারমা ছড়া ইউনিয়নের আধারঘোনা গ্রামের জনৈক লেদুমিয়ার পুত্র মো. রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা জানান প্রতারক রুবেল মিয়া প্রতিঘর থেকে ৫-১০ হাজার টাকা নিয়েছে ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে। 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ মেম্বার নুরুল ইসলামের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। চেয়ারম্যান নিজে প্রতারক রুবেল মিয়ার নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল মিয়া আবুলতাবুল বলায় মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই এর সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে ৫ মার্চ রাত ৮ টায় প্রতারক রুবেল মিয়াকেসহ মহেশখালী থানায় হাজির হন। 

চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের নিকট প্রতারক রুবেল মিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান রুবেল মিয়া একজন প্রতারক লোক। সে লোকজনকে ঘর দেওয়ার আশ্বাসে প্রতি জন ভুক্তভুগী থেকে প্রায় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। বিনিময়ে লোকজনের বিশ্বাস জন্মানোর জন্য কিছু কিছু পরিবারে বাড়ি নির্মাণের সরঞ্জামও দিয়েছে। কালারমার ছড়ার বেশ কয়েকটি গ্রামের ৫ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে জানা গেছে। তবে তার কাছে প্রথম ধাপের ১২৫ জনের একটি লিস্ট আছে। ‌

এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান- চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ আমাকে বিষয়টি অবহিত করলে আমি প্রতারক রুবেল মিয়াকে ধৃত করার জন্য অনুরোধ করি। প্রতারক রুবেল মিয়া কে থানায় নিয়ে এসে নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ‌প্রতারক রুবেল মিয়া চেয়ারম্যানের নিকট ৭ লাখ টাকার কথা স্বীকার করলেও থানায় এসে স্বীকার করেছেন ২১ লাখ টাকার কথা। ‌তাকে আটক করার পর নুরুল ইসলাম মেম্বার এর মাধ্যমে মহেশখালী থানায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা হওয়ার কথা তিনি নিশ্চিত করেছেন। প্রতারক রুবেল মিয়া এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনাটির ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত থাকবে। ‌ অন্য কেউ সংশ্লিষ্ট থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আব্দুল হাই জানান।