মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান ও মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই। উপজেলা ও থানা প্রশাসনের প্রধান এই দুই কর্মকর্তা তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রতিদিনই রাস্তায় গিয়ে নিজে মাইকিং বা কোন কোন সময় স্বয়ং নিজে বুঝিয়ে সাধারণ মানুষদের সচেতন করছেন। বিতরণ করছেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনা নিয়ন্ত্রণ উপকরণ। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের জরিমারাও করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
উপজেলার প্রবেশপথ চালিয়াতলী হয়ে জনতাবাজার-গোরকঘাটা, ছিতাখোলা-মাতারবাড়ি ও কালারমারছড়া-গোরকঘাটা এলাকাগুলোতে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। গত (১৪ই এপ্রিল) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক পরিধান না করা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় প্রায় পনের জনকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ইউএনও, এসময় লকডাউন চলাকালীন এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মুভমেন্ট কারীদেরও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়। করোনা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সেক্টর প্রধান অন্যান্য অপরাধ দমনের দিকেও রাখছেন সামানতালে নজর। ফলে ছোট বড় তেমন কোন অপরাধ সংগঠিত হতে পারছেনা।
এদিকে করোনাকালীন সময়ে ইউএনও-ওসির যৌথ এমন প্রচারণা-অভিযানকে সর্বাত্মক সাধুবাদ জানাচ্ছে উপজেলার সচেতন নাগরিকগন। মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া নোনাছড়ি এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান জানান, সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়েছে, কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছে, কিন্তু সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য কি দেওয়া হয়েছে? যারা দিনে এনে দিনে খায় তারা এখন কিভাবে চলবে? উপজেলা ও থানা প্রশাসনের অভিযান-প্রচারণাকে সাধুবাদ জানাই তবে উপজেলার নিম্ম আয়ের মানুষের প্রতি নজর রাখতেও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রাখবো।