Advertisement


আফগানিস্তান থেকে পালানো ৪৬টি বিমান জোর করে নামাল উজবেকিস্তান


আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৬টি বিমান জোর করে নামিয়েছে উজবেকিস্তানের সেনারা। বেআইনিভাবে উজবেকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ায় দেশটির সেনাবাহিনী ওই বিমানগুলো জোর করে নামিয়ে নেয়। মঙ্গলবার এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

খবরে বলা হয়, রোববার থেকে মোট ২২টি আফগান যুদ্ধবিমান এবং ২৪টি সেনা হেলিকপ্টার বেআইনিভাবে উজবেকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ওই ৪৬টি বিমানে পূর্বতন গনি সরকারের ৫৮৫ জন আফগান সেনাকর্তা এবং কর্মকর্তা ছিলেন। তাই সেগুলি নামানো হয়।

রোববার রাতে ‘ভেঙে পড়া’ বিমানটিও বেআইনি ভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় নামানো হয় বলে জানিয়েছে তারা। ওই দুই বিমানের পাইলট হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের কী অবস্থা, তা খোলসা করেনি উজবেক সরকার।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, আফগান বিমানের ‘ভেঙে পড়া’ নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল আগেই। একটি নয়, দু’টি নয়, এবার দু’দিনে কাবুল থেকে আসা ৪৬টি বিমান জোর করে নামানোর কথা স্বীকার করেছে উজবেকিস্তান। তাদের দাবি, বেআইনিভাবে তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল বিমানগুলি। তাই সেগুলি নামাতে বাধ্য হয়েছে তারা।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, রোববার তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই দলে দলে দেশ ছাড়ছেন আফগান মানুষ। এই দেশত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি ঘনিষ্ঠ সেনাকর্তা এবং নিরাপত্তা আধিকারিকরাও। বিমানে চেপে আশেপাশের দেশগুলিতে আশ্রয়ের খোঁজ করছেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সকালেই উজবেকিস্তানে আফগান সেনার একটি বিমান ভেঙে পড়ার কথা সামনে আসে। গভীর রাতে বিমানটি সেখানে ভেঙে পড়ে। শুরুতে এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেনি উজবেকিস্তান সরকার। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে বিষয়টি তদারকি করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় তারা। কিন্তু দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মন্তব্যেই অসঙ্গতি ধরা পড়ে।

প্রথমে রাশিয়া জানায়, উজবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। বিমানটি নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এর পর উজবেক সরকার বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, রাস্তা দেখিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার সময় বায়ুসেনার একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে আফগান বিমানটি ভেঙে পড়ে। পরে যদিও সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয় উজবেক সরকার।
 
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, এশিয়ার ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ আফগানিস্তানে দেশে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলে আসা বিক্ষোভের আঁচ উজবেকিস্তানকেও বছরের পর বছর বয়ে বেড়াতে হয়েছে। তাই রবিবার তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকেই অনেক বেশি সাবধানী তারা।