Advertisement


কালারমার ছড়ার চালিয়াতলীতে শশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ, অভিযোগ দায়ের


বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার চালিয়াতলীতে এক গৃহবধুকে পারিবারিক নির্যাতন করে জোর করে খালি স্টাম্পে দস্তখত নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নির্যাতিতা গৃহবধু তাহামিনা আক্তার (১৯) তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্বামীর হাতে প্রচন্ড নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গৃহবধুর মামা উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের মোহরাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক ৬জনকে অভিযুক্ত  করে মহেশখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

নির্যাতিতা গৃহবধু তাহিমা  আক্তার কালারমারছড়া চালিয়াতলী  গ্রামের মোহাম্মদ কাছিমের পুত্র মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ'র স্ত্রী।

অভিযোগে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার গৃহবধু গত বছরের নভেম্বর মাসের দিকে উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইরারডেইল গ্রামের সরওয়ার নামে এক যুবকের সাথে প্রথম বিবাহ হই। বিবাহের পরে স্বামীর বাড়ি থেকে নিজের বাপের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে কয়েকদিন থাকার পর ফের স্বামীর বাড়িতে চলে আসার সময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা বর্তমান ২য় স্বামী মুহিব উল্লাহ তাহামিনার পথরোধ করে তাকে টানাহেঁচরা করে গাড়ীযোগে অজানা স্থানে নিয়ে যায়। এঘটনায় মহেশখালী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাহামিনার পরিবারের পক্ষ থেকে।

অপরদিকে নির্যাতনের শিকার গৃহবধু তাহিমা আক্তারের মামা মোজাম্মেল হক লিখিত অভিযোগে  উল্লেখ করেন কালারমারছড়া চালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা মুহিব উল্লাহ, তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন মৃত নজির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ কাছিম, মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ ছৈয়দ, মোহাম্মদ কাছিমের মেয়ে রোকিয়া বেগম, শাহেনা বেগম ও মোহাম্মদ রাশেদের সহযোগিতায় আমার ভাগ্মিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তিন মাস পরে কাবিনামা সম্পাদন করার নিমিত্তে আকদ মুলে বিবাহ করে। কিছু মাস সুখে শান্তিতে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করলে শুরু দুইজনের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি ও যৌতুক নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। একারণে মুহিব উল্লাহসহ লোকজনেরা অনেকবার শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে তাহিমা আক্তারকে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বিচার সালিশ হয়। গত ৬ আগষ্ট বিবাদীদের বাড়ী গিয়ে নির্যাতনের ফলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা করতে অনুরোধ জানালে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অকাথ্যভাষায় গালিগালাজ করে আমার ভাগ্মিকে তাড়িয়ে দিলে বিষয়টি স্থানিয় গণমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে বিবাদীদের ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আশা রাখি সুস্থ বিচার পাব।

মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, বিষয়টি ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।