৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে মন্দির এলাকায় গিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটক দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় কাউকে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে সাগরের সৌন্দর্য দেখতে, কেউ কেউ মন্দিরে পূজা করতে আবার কেউ কেউ স্থানীয় রাখাইনদের হাতের তৈরী কাপড় কিনতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদিনাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে ২২টি দোকান রয়েছে। মূলতঃ তারা পর্যটন নির্ভর ব্যবসা করে। করোনাকালে পর্যটক না আসায় তাদের ব্যবসায় ধস নামে। তবে বর্তমানে দিন দিন পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের বেচা-কেনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখানে বেড়াতে আসা কুমিল্লার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, আমি প্রথম মহেশখালী ভ্রমণে এসেছি। অনেক জায়গায় ঘুরছি তবে পাহাড়ের চূড়া থেকে সাগরের সৌন্দর্য দেখি নাই, এখানে এসে তা দেখে খুবই আনন্দ লেগছে৷
দিনাজপুরের ফুলবাড়ির থেকে ২০ জনের একটি দল ঘুরতে আসে আদিনাথের মন্দিরে। জেটি ঘাট থেকে নেমেই আদিনাথ মন্দিরে ঘুরে কম দামে কাপড় কেনার কথা জানান এ দলের একজন -সেকান্দর। তিনি বলেন মহেশখালী ভ্রমণের আনন্দ তার মনে থাকবে।
মন্দিরের নিচে ডাব বিক্রেতা ললিত জানান, মহেশখালী বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ডাব সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাবের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে বেচা-বিক্রিও হচ্ছে বেশ।
মন্দিরে সাথে লাগানো একটি বার্মিজ স্টোরের আঁখি ও ইঞ্জু রাখাইন জানান, আমাদের হাতের তৈরী কম দামে বিভিন্ন কাপড় ও চাদর আছে, পাশাপাশি বার্মা থেকে ও সংগ্রহ করা চাদরও রয়েছে। করোনার কারণে পর্যটক না আসায় অনেক দিন কষ্টে দিনযাপন করতে হয়েছে৷ কয়েক সপ্তাহ থেকে পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচা-কেনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তারা।