নিউজ ডেস্ক।। সম্প্রতি মহেশখালীর সব খবরে প্রকাশ পাওয়া মাতারবাড়ি ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াবেটিস সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি আর্থিক ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে মর্মে একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। ভিডিওতে শেষমধ্য বয়সী এক ব্যক্তি জনৈক ব্যক্তি ওই রুগীর অভিভাবক পরিচয় দিয়ে অভিযোগগুলো তুলতে দেখা যায়। অবশ্যই পরে একই ব্যক্তি আলাদা একটি ভিডিওতে কথা বলেন এবং প্রথম ভিডিওতে তার বলা কথাগুলো সত্য নয় বলেও প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওটিও আমরা হাতে পাওয়ামাত্র তা প্রকাশ করার উদ্যোগ নেই। এবার সার্বিক বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে একটি লিখিত প্রতিবাদলিপি ও ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন। আমাদের পাঠকের জন্য তা হুবহু প্রকাশ করা হলো।
চলতি বছরের গত ১০এপ্রিল শাফিয়া (৪০) নামের একজন রোগী তীব্র পেটব্যথা নিয়ে মাতারবাড়ি ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াবেটিস সেন্টারে আসেন। রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ইমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাকের উল্লাহ সাগর ইমারজেন্সি ম্যানেজ করে রোগীকে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। রোগীকে ডা. শাকের উল্লাহ সাগর এর তত্বাবধানে রাখা হয়। পরবর্তীতে রোগীর উপযুক্ত ও সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত এবং রোগ নির্ণয় করার লক্ষ্যে ইউরিন আরএমই,ই.সি.জি., সিবিসি, সেরাম ক্রিটিনিন, সেরাম এমালাইজ, ইউএসজি অব হুল এবডুমেন্ট( আল্টাসনোগ্রাম) ইত্যাদি পরীক্ষাগুলো করতে বলেন। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় -রোগীর প্রস্রাবে ইনফেকশন রয়েছে( UTI with Cystitis)। পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা চলার পর রোগীর শারীরিক অবস্থা উন্নতি হয়েছে দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাকের উল্লাহ সাগর পর দিন অর্থাৎ ১১ এপ্রিল বেলা আড়াইটার দিকে রোগীকে ছাড়পত্র দেন। ছাড়পত্রে এও লিখে দেন যে- আরবিএস(RBS) এবং লিপিডপ্রোফাইল(Lipid Profile)পরীক্ষাগুলো করে ৭ দিন পর হাসপাতালের আউটডোর এ দেখা করার জন্য। ৭ দিন পর রোগী আর আসেনি ।
বিষয়টির ঠিক ৫০ দিনের মাথায় এসে রোগীর স্বামী কারও উস্কানিতে অতি উৎসাহী হয়ে মিথ্যা বানোয়াট একটা ভিডিও বার্তায় অংশ নেন। তিনি ঐ ভিডিও ফুটেজে রোগীর স্বামী দাবি করেন এবং হসপিটাল তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো একটা মোটা অংকের ফিস আদায় করেন বলে দাবি করেন। মূলত: এসব চরমভাবে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর কথা, বিষয়টি
হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টিগোচর হলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করেন এবং তার কাছে থাকা কাগজ পত্র যাচাই করেন। যাচাইকালে দেখা যায় যে- রোগীর রোগনির্ণয়ে ল্যাবে বিল হয় ৩,১৫০ টাকা, তা থেকে ৯৫০ টাকা ছাড় দিয়ে ২,২০০ টাকা বিল করা হয়। হসপিটালে দু’দিন ভর্তি থাকার পর শয্যা এবং সার্ভিস চার্জসহ হসপিটালে মোট বিল হয় ১,৫৬০ টাকা। তা থেকেও ৩৬০ টাকা ছাড় দিয়ে বিল করা হয় ১,২০০ টাকা। সর্বসাকুল্যে রোগনির্ণয় ও হসপিটালের মোট বিল হয় ৩,৪০০ টাকা। অথচ তিনি কথিত এ ভিডিওতে দাবি করলেন- ৭০০০/৮০০০ টাকার মতো। যা নিতান্তই ষড়যন্ত্রমূলক, হাস্যকর ও হাসপাতালের জন্য মানহানিমূলক।
আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন মাতারবাড়িতে চিকিৎসা সেবায় অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কাছে ন্যায্য বিনিময় আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে মাতারবাড়ির সন্তান ডাক্তার এবং কিছু স্বপ্নবাজ উদ্যোগী ব্যক্তি মাতারবাড়ি ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াবেটিস সেন্টার প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। মানুষকে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই হসপিটালের যাত্রা। এ স্বপ্নযাত্রাকে অঙ্কুরেই বাধাগ্রস্ত করতে ওই ব্যক্তিকে দিয়ে এমন বিভ্রান্তিকর অসত্য বক্তব্য দেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি। পরে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া তার জবানবন্দিতে উঠে আসে কিছু স্বার্থান্বেষী ও ষড়যন্ত্রিমহল এরকম ভিডিও বার্তায় অংশ নিতে বাধ্য করে। যা মাতারবাড়ি ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াবেটিস সেন্টার এর ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এরকম ন্যক্কারজনক কাজের জন্য স্বার্থান্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী মহলের প্রতি মাতারবাড়ি ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াবেটিস সেন্টার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং আগামীতে এ ধরণের হাস্যকর কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
নিবেদক:
কর্তৃপক্ষ
মাতারবাড়ি ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াবেটিস সেন্টার।