মাতারবাড়ি প্রতিনিধি।। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর করেছে আরেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ নয়ন (১৮)। সে ধলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। নয়ন ধলঘাটা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড়ের সাপমারাডেইল এলাকার গিয়াস উদ্দীনের পুত্র। বর্তমানে সে মাতারবাড়ি ডিজিটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ২টার দিকে মাতারবাড়ি কৃষি ব্যাংকের নিচ তলায় শিক্ষার্থীদের মেসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগি মো. নয়ন মহেশখালীর সব খবরের প্রতিবেদককে জানান, আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) আমাদের ভুগোল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসলে ঐ স্কুলের এক ছেলে আমাদের এক মেয়ে সহপাঠীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে মেয়েটা সায় না দিলে, মেয়েটিকে সে নানাভাবে হয়রানি করে। এতে আমিসহ আমার কয়েকজন সহপাঠি প্রতিবাদ করলে মাতারবাড়ির ছেলেটি আমাদের উপর চওড়া হয়। পরে আমাদের প্রধান শিক্ষককে আমরা বিষয়টি অবগত করি। তিনি আমাদের সমাধান করে দেন। পরে পরীক্ষা শেষে আমরা আমাদের মেসে চলে যাই। সেখানে মাতারবাড়ির ওই ছেলেসহ আরও ২/৩ জন যায়।সেখানে থাকা আমাদের প্রধান শিক্ষক জসিম স্যার উপস্থিত ছিল। তিনি ছেলেটির পরিচয় জানতে চায়। এ পর্যায়ে ছেলেটি স্যারকে ধাক্কা দেয়। এ সময় আমরা স্যারকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় এবং সে সময় ছেলেগুলো আমাদেরকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে আমার কপালে। এরপর আমি মাটিতে পড়ে যাই।
ধলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো জসিম বলেন, মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সালমান নামে এক ছেলে আর পাবলিক স্কুলের আরেক ছেলে মিলে আমাদের ছাত্রছাত্রীর মেসে এসে ঝামেলা করতেছিল। এ সময় আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা আমার উপর তেড়ে আসে। এ সময় মেসে থাকা আমার স্টুডেন্টরা আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে। এতে মারামারিতে আমার এক ছাত্র মারাত্মকভাবে ছুরিকাহত হয়। তবে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। কেন্দ্র সচিব, মহেশখালী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার, মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান ও পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সকলের উপস্থিততে সমাধান হয়েছে।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ফজলুল হক সমাধানের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দুজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে মুচলেকা নেওয়া হয়ছে।
এ ধরনের ঘটনা মাতারবাড়ি শিক্ষিত সচেতন সমাজের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।শিক্ষার্থীদের মাঝে নীতি-নৈতিকতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেক অভিভাবক।