আ ন ম হাসান।। মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন না করে ২০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযানের সময় আনসার সদস্যরা স্থানীয় নারীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে উচ্ছেদ অভিযান থেকে ফিরে এসেছেন ইউএনও। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি মহেশখালীর ইউএনও।
জানা গেছে- মহেশখালীতে ক্ষতিপূরণ আদায় ও পূনর্বাসন না করে বাড়িঘরে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে ফিরে আসতে হয়েছে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইয়াসিনের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া পুরো দলকে। আমদানি করা জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে খালাস করার জন্য গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের পাইপ লাইন চালানোর জায়গায় থাকা এসব ঘরবাড়ি উচ্ছেদের জন্যই এ অভিযান চালানো হয় বলে জানা যায়। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান- মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসপিএম প্রকল্পের কয়েকজন কর্মকর্তা বাড়িঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য স্থানীয়দের বেশ কয়েকবার মৌখিক ভাবে অবগত করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার গুলো এর বিনিময়ে ক্ষতিপূরন সহ পূনর্বাসনের দাবি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত কোন ধরণের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে এবং পূনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে বেলা ১২টার দিকে আনসার সদস্য ও এসপিএম প্রকল্পের লোকজন সহ ইউএনও'র নেতৃত্বে বুলডোজার নিয়ে এ সব বাড়িঘর ভাংচুর করতে আসেন। তখন ভুক্তভোগীরা তাদের বাঁধা দেন। ওই সময় আনসার সদস্যদের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন মহিলা আহত হয়। এ সময় চরম হট্টগোল পরিস্থিতির সৃষ্টির হয় ওই এলাকায়।
আলমগীর নামের এক ভুক্তভোগি বলেন, "এসপিএম প্রকল্পের রাস্তার দক্ষিণ পাশে দীর্ঘ একশো বছর ধরে বংশ পরম্পরায় ২০টি পরিবারে প্রায় দেড়শো মানুষ বসবাস করে আসছে। এই জায়গায় পাইপ লাইন নির্মানের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে ইউএনও'র নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে আসে। তিনি উল্টো প্রশ্ন তুলে বলেন- এই শীতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে আমরা এত গুলো মানুষ কোথায় যাবো?"
তাহমিনা, শাহেদা আকতার পপি সহ কয়েকজন নারী ভুক্তভোগী বলেছেন, দুপুরে রান্নার কাজ করছিলাম। ওই সময় ইউএনও'র নেতৃত্বে বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে আসে। অথচ আমাদের জমি গুলো খতিয়ানভুক্ত। আমরা বাঁধা দিলে ইউএনও'র নির্দেশে আনসার সদস্যরা আমাদের লাঠিচার্জ ও মারধোর করে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইয়াসিনের কাছে জানতে চাইতেই তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।