Advertisement


মহেশখালীতে বৃষ্টির মধ্যে সড়কে এলজিইডির ঢালাই কাজ, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ


নিজস্ব প্রতিবেদক।। আজ (৩১ আগস্ট) বিকালে মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকান হতে সিপাহীর পাড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে বৃষ্টির মধ্যে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে ঢালাইয়ের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ইলজিইডি অফিসের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এতে প্রতিবাদ জানিয়ে কাজ বন্ধ করার অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।  কাজ বন্ধ না করলে স্থানীয়রা মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমাকে জানালে তাৎক্ষণিক ভাবে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা যায়।

সূত্রে জানা যায়- মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকান হতে সিপাহীর পাড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করতেছে এলজিইডি। উক্ত সড়কের ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজশে নিয়ম বহির্ভূত ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে বৃষ্টির মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ করে আসছিল। ঢালাইয়ের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদার আবদুল কাদের ও ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কার্য-সহকারী আশরাফ উপস্থিত ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে ঢালাইয়ের কংক্রিট থেকে সিমেন্ট সরে গেলে স্থানীয়দের চোখে পড়লে তা দায়িত্বরতদের অবগত করেন, তারা স্থানীয়দের কথা আমলে না নিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই অধিকাংশ ঢালাইয়ের কাজ করে ফেলেন। ফলে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে কাজ বন্ধ করে দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ঢালাই করা পলেস্তারা তুলে ফেলতে নির্দেশ দেন। পরে অল্প একটু তুলে বৃষ্টির মধ্যে করা বাকি ঢালাই কাজ রেখে দিয়েই তারা চলে যান।

স্থানীয়রা জানান- বৃষ্টির মধ্যেই দুর্নীতি করতেই ঢালাইয়ের কাজ করতেছে ইঞ্জিনিয়ার অফিস। বিষয়টি ইউএনওকে অবগত করার পর বৃষ্টির মধ্যে ঢালাই করা পলেস্তারা তুলে ফেলার নির্দেশ দিলেও তারা অল্প একটু তুলে বাকিটা রেখে চলে যান। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয়রা।
 

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শরীফ বাদশার বলেন- বৃষ্টিতে কোনো ভাবে পাকাকরণ বা ঢালাইয়ের কাজ করা যাবে না। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্টদের অবগত করবেন বলে জানান।  

উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সবুজ কুমার দে'র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- খবর পেয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বৃষ্টির মধ্যে যা ঢালাই হয়েছে তা তুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  
 
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা জানান- বিষয়টি অবগত হওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।