ফারুক ইকবাল।। মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে আবারও নাব্যতা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। মূলতঃ মহেশখালীর ব্যস্ততম জেটি ঘাট সন্নিহিত খালে পলি জমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সাগরের মোহনা থেকে প্রবেশ পথে বর্ষার ঢলে কাদা মাটিতে খাল ভরাট হয়ে খালটি কাদার রাহায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ৩০০ মিটার খালজুড়ে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। খালটি ড্রেজিং এর দাবি উঠলেও কার্যতঃ কোনো উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় নৌপথ পারাপারে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। খাল খাননের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেও কর্মকর্তাদের মধ্যে অযুহাতের শেষ নাই।
সরজমিন দেখা গেছে- ভাটার সময় স্পিডবোট কিংবা যাত্রীবাহী নৌকা থেকে লোকজন নেমে কাদা মাড়িয়ে উঠছে জেটিতে বা জেটি থেকে কাদাপথ পাড়ি দিয়ে উঠতে হচ্ছে নৌকায়। ঝুঁকি নিয়ে কাদা মাড়িয়ে এই উঠানামা পর্যায়ে অনেক যাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এ নৌরুট ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান- নৌপথে কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ কক্সবাজারের মহেশখালী জেটি। তাছাড়াও কক্সবাজার প্রান্তে প্যারবন দখল করে ভরাট ও বাকখালী নদীতে বর্ষার ঢলে প্রায় ৭০০ মিটার কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বাকখালী খাল। সব মিলিয়ে এ নৌরুটটি দ্বীপবাসীর জন্য দুর্ভোগের প্রধান উপলক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নৌযান চালকেরা জানান- মহেশখালী জেটির সামনের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। জোয়ারের সময় অনেকটা সমস্যা না হলেও ভাটার সময় জেটি থেকে তীরের দূরত্ব দাঁড়ায় ৩০০ মিটার। এ মুহূর্তে খাল খনন না করলে এই দুর্ভোগ কমবে না বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে খাল খননের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করলেও প্রকল্প না থাকায় এ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সম্প্রতি এক দিন দুপুর ১২টায় ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে- জেটি থেকে অন্তত ৩০০ মিটার দূর থেকে হাঁটু এমনকি কোমর পরিমাণ কাদা মাড়িয়ে কষ্টে জেটিতে এসে উঠছে যাত্রীরা। একই কষ্ট মেনে নৌযানে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের।
রাজশাহী থেকে মহেশখালীতে আসা শাহনেওয়াজ রহমান নামের এক পর্যটক বলেন- ‘মহেশখালীর অপরূপ দৃশ্য দেখতে কক্সবাজার থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে স্পিডবোটে এখানে আসি। কিন্তু মহেশখালী চ্যানেলের তীরে স্পিডবোট যখন থামল, তখন জেটি চোখে পড়ল না। কাদা মাড়িয়েই জেটিতে উঠেছি। এমন ভোগান্তি হবে জানলে এখানে পরিবার–পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসতাম না।’
মহেশখালীর একজন সচেতন নাগরিক আ ন ম হাসান, তিনি বলেন- কম হলেও দিনে অন্ততঃ পাঁচ হাজার মানুষ এই জেটি দিয়ে আসা যাওয়া করে। তার মধ্যে পাঁচশত থেকে হাজারের মতো পর্যটক থাকেন। ভাটার সময় এসব যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন- যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে খাল খননের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ঘাট ইজারাদারা এসব খাল খনন করবে মর্মে শর্ত দেয়া থাকে। মহেশখালী জেটি যেহেতু বর্তমানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক নিয়ন্ত্রণ করেন সেহেতু জেলা প্রশাসক থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে খাল খননের বিষয়টি জানাতে হবে। তাহলে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প তৈরী করে ঢাকায় পাঠাবে। প্রকল্প পাশ হলে খাল খনন করা যাবে।
প্রসঙ্গতঃ বিগত এরশাদ সরকারের আমলে প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটার পূর্ব পাশে ১৯৮৮ সালে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার দৈর্ঘের এই জেটি নির্মাণ করা হয়। পরে জেটির সামনে চর জেগে উঠলে ২০০০ সালে জেটিটি আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন সরকার। এ সময় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে জেটির পূর্ব পাশে আরও ১০০ মিটার হাইওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু এতেও কোনো লাভ হয়নি। ধীরে তাও ভরাট হয়ে আসে। বিগত কয়েক বছর ধরে খালে পলি জমে ভাটার সময় কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। গত কয়েক বছর খাল ড্রেজিং করে মোটামুটি নৌযান চালাচলের উপযুক্ত করা হলেও পরে তা ক্রমাগত ভরাট হয়ে যায়৷
এ অবস্থায় সব অযুহাত পাশ কাটিয়ে দ্রুত সময়ে খালটি ড্রেজিং করে জনদুর্ভোগ কামানোর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষের।
সরজমিন দেখা গেছে- ভাটার সময় স্পিডবোট কিংবা যাত্রীবাহী নৌকা থেকে লোকজন নেমে কাদা মাড়িয়ে উঠছে জেটিতে বা জেটি থেকে কাদাপথ পাড়ি দিয়ে উঠতে হচ্ছে নৌকায়। ঝুঁকি নিয়ে কাদা মাড়িয়ে এই উঠানামা পর্যায়ে অনেক যাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এ নৌরুট ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান- নৌপথে কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ কক্সবাজারের মহেশখালী জেটি। তাছাড়াও কক্সবাজার প্রান্তে প্যারবন দখল করে ভরাট ও বাকখালী নদীতে বর্ষার ঢলে প্রায় ৭০০ মিটার কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বাকখালী খাল। সব মিলিয়ে এ নৌরুটটি দ্বীপবাসীর জন্য দুর্ভোগের প্রধান উপলক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নৌযান চালকেরা জানান- মহেশখালী জেটির সামনের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। জোয়ারের সময় অনেকটা সমস্যা না হলেও ভাটার সময় জেটি থেকে তীরের দূরত্ব দাঁড়ায় ৩০০ মিটার। এ মুহূর্তে খাল খনন না করলে এই দুর্ভোগ কমবে না বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে খাল খননের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করলেও প্রকল্প না থাকায় এ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সম্প্রতি এক দিন দুপুর ১২টায় ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে- জেটি থেকে অন্তত ৩০০ মিটার দূর থেকে হাঁটু এমনকি কোমর পরিমাণ কাদা মাড়িয়ে কষ্টে জেটিতে এসে উঠছে যাত্রীরা। একই কষ্ট মেনে নৌযানে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের।
রাজশাহী থেকে মহেশখালীতে আসা শাহনেওয়াজ রহমান নামের এক পর্যটক বলেন- ‘মহেশখালীর অপরূপ দৃশ্য দেখতে কক্সবাজার থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে স্পিডবোটে এখানে আসি। কিন্তু মহেশখালী চ্যানেলের তীরে স্পিডবোট যখন থামল, তখন জেটি চোখে পড়ল না। কাদা মাড়িয়েই জেটিতে উঠেছি। এমন ভোগান্তি হবে জানলে এখানে পরিবার–পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসতাম না।’
মহেশখালীর একজন সচেতন নাগরিক আ ন ম হাসান, তিনি বলেন- কম হলেও দিনে অন্ততঃ পাঁচ হাজার মানুষ এই জেটি দিয়ে আসা যাওয়া করে। তার মধ্যে পাঁচশত থেকে হাজারের মতো পর্যটক থাকেন। ভাটার সময় এসব যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন- যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে খাল খননের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ঘাট ইজারাদারা এসব খাল খনন করবে মর্মে শর্ত দেয়া থাকে। মহেশখালী জেটি যেহেতু বর্তমানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক নিয়ন্ত্রণ করেন সেহেতু জেলা প্রশাসক থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে খাল খননের বিষয়টি জানাতে হবে। তাহলে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প তৈরী করে ঢাকায় পাঠাবে। প্রকল্প পাশ হলে খাল খনন করা যাবে।
প্রসঙ্গতঃ বিগত এরশাদ সরকারের আমলে প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটার পূর্ব পাশে ১৯৮৮ সালে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার দৈর্ঘের এই জেটি নির্মাণ করা হয়। পরে জেটির সামনে চর জেগে উঠলে ২০০০ সালে জেটিটি আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন সরকার। এ সময় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে জেটির পূর্ব পাশে আরও ১০০ মিটার হাইওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু এতেও কোনো লাভ হয়নি। ধীরে তাও ভরাট হয়ে আসে। বিগত কয়েক বছর ধরে খালে পলি জমে ভাটার সময় কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। গত কয়েক বছর খাল ড্রেজিং করে মোটামুটি নৌযান চালাচলের উপযুক্ত করা হলেও পরে তা ক্রমাগত ভরাট হয়ে যায়৷
এ অবস্থায় সব অযুহাত পাশ কাটিয়ে দ্রুত সময়ে খালটি ড্রেজিং করে জনদুর্ভোগ কামানোর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষের।