সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রতুল কুমার শীলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ভ্রাম্যমাণ দল মহেশখালীর প্রধান সড়কের কালারমার ছড়া অংশে টহলে ছিল। এ সময় পুলিশের পিকআপ ভ্যান দেখে একটি সিএনজিচালিত টেক্সি হঠাৎ থেমে যায় এবং চালক গাড়ি থেকে নেমে অন্ধকারে পালিয়ে যায়।
চালকের আচরণে সন্দেহ হলে পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি করে। এ সময় গাড়ির আসনের নিচে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ভাটসহ দুইটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অস্ত্রসহ গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় রাতেই আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালালেও গাড়ির চালক বা অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি ও অন্যান্য গাড়ির চালকগণ- এ গাড়িটি মহেশখালীর নয়, কক্সবাজারের বা কক্সবাজার থেকে আসা বলে মন্তব্য করেন।
শেষরাতে রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করবে এবং জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা ও তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহেশখালী থেকে পাচারের সময় চকরিয়ার বদরখালী ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৃথক দুটি বন্দুক চালান জব্দ করেছিল।