Advertisement


মহেশখালীর আইসোলেশন সেন্টারে এ কেমন খাবার?

মহেশখালীর আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল সরবরাহ করা বাসি খাবার।
এম. বশির উল্লাহ, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ।
করোনা ইস্যুতে খোলা মহেশখালী আইসোলেশন সেন্টারে অসম্ভব দুর্বল মানের খাবর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন পটভূমিকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সেন্টারে অবস্থান নেওয়া করোনা পজিটিভ রোগিরা। খাবর বিতরণে এমন দায়হীনতার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ লোকজনের মনেও একটি খারাপ প্রভাব পড়েছে। অবশ্যই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে -তা এ নিয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। 

মহেশখালীর লিডারশীপ স্কুলের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি থাকা একজন করোনা পজিটিভ রোগি জানাচ্ছেন -আমি আইসোলেশন সেন্টারে ২৫ জুন ভর্তি হই, যা আমরা দুই ফ্ল্যাটে মোট ৮ জন রোগী ছিলাম। যার মধ্যে আমির ফয়সাল নামের ভুক্তভোগী রোগীর ফেসবুক পোস্টের সুবাদে ইতোমধ্যে আপনারা খাবার অব্যবস্থাপনার অনেক অভিযোগ ও অনিয়ম জানতে পেরেছেন। তার মধ্যে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা না থাকা, অর্ধ সিদ্ধ ভাত দেওয়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ পাউরুটি দেওয়া ও  পরিমাণে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তখন আমরা সংশ্লিষ্ট ডিউটি ডাক্তার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ মাহফুজ স্যারের কাছে অভিযোগ করার পর ওনারা আমাদেরকে আগামীতে আর এ রকম সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বলতে লজ্জা হচ্ছে ওনারা সেই কমিন্টমেন্ট রাখেননি। কাল থেকে এসআই কিশোর বড়ুয়াসহ আমরা মোট ৫ জন মাত্র রোগী আছি তারপর আজ রাতের খাবারেও চালযুক্ত নরম দলা ভাত, দুপুরে রান্না করা ভাজি ও নামে মাত্র মাংস দেওয়া যা খুবই অমানবিক, স্বেচ্ছাচারিতা ও রোগী হিসেবে অপমানজনক মনে করি। আমাদের মত অল্প রোগীদের এ অবস্থা হলে হাসপাতালের ওয়ার্ডের রোগীদের খাবারের কি অবস্থা হতে পারে আপনারা বুঝে নিন। এরকম অমানবিক আচরণে রোগীর মনোবল ভেঙে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাই থেকে যায় অন্যথায় রোগীদের আইসোলেশন থেকে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এত কিছুর পরেও রোগীদের খাবারে এত অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অভিযোগ গুলি দেখার কি কেউ নেই? আসলে, মুজিব আদর্শের সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমি মনে করি কোন একটি মহল মহামারী করোনা মোকাবেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত চিকিৎসা খাতে প্রণোদনা, স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমূর্তি ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা ভুক্তভোগী রোগীরা সংশ্লিষ্ট মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ও মহেশখালী-কুতুবদিয়ার গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা প্রিয় নেতা আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এম পি মহোদয়ের কাছে আগামী দিনে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা ও মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

[ প্রতিবেদনটি সম্পাদনার পর্যায়ে, বিস্তারিত আসছে..]