আলাপকালে ফয়সাল আমিন সাংবাদিকদের জানান- "মহেশখালীতে আসার কথা বললেই এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে, বিদেশে কোনো স্বজন নেই, তারপরও পড়ালেখা ও কাজের জন্য বিদেশে থাকতে হয়। এবার খুব অল্প সময়ের জন্য আসা হয়েছে, তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই- তবে এখানে আসলেই পরিকল্পনা হয়ে যায়, উপস্থিত কিছু কাজ করতে হয়।"
মি. আমিন বলেন- মহেশখালীতে কিছু (মানবিক) কাজ চলমান আছে, এবার 'ফয়সাল ডাইং' উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন- এবার সাড়ে ৩মাস পর খুব অল্প সময়ের জন্য আসা হয়েছে, তাতেই অনেক কাজ সামলাতে হবে। এরই মধ্যে মহেশখালীতে দুইবার ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে, প্রথমবার আমি ত্রাণ বিতরণের চেষ্টা করলেও শেষেরবার খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে মহেশখালীতে কাজের বিবরণ উল্লেখ করে ফয়সাল আমিন বলেন- ৩-৪টি মসজিদে ছাদ ঢালাই এর কাজ শেষ হয়েছে, ঘোনা পাড়ায় সিডির কাজ শেষ করা হলো, কয়েকটি মাদ্রাসায় টাইলস এর কাজ চলছে, কয়েকজন দুস্থ রোগীকে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
মহান আল্লাহর প্রতি শোকরিয়া প্রকাশ করে তিনি বলেন- ৬ বছর আগেও তার দান করার মতো অবস্থা ছিল না, এখন তা করতে পেরে ভালো লাগছে। তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন।
প্রসঙ্গত মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়া এলাকার সমাজসেবক আবু ছিদ্দিক ফয়সাল আমিন গত কয়েক বছর আগে পড়ালেখার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান, পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি শ্রমও করেন। শ্রম থেকে আয় করা টাকার একটি বড় অংশ তিনি মহেশখালীতে মানবিক কাজে ব্যয় করেন বলে জানা গেছে।