সংবাদদাতা প্রেরিত।। মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুদিরছড়া বিট এলাকার কাছাকাছি স্থানে মাদ্রাসা স্থাপনের বাহানা দিয়ে সরকারি বনভূমির সংরক্ষিত এলাকায় ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নেই কার্যকর পদক্ষেপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার জনৈক আবু তৈয়বের ছেলে সাইফুল ইসলাম সরকারি বনভূমির সংরক্ষিত এলাকায় মাদ্রাসা স্থাপনের অজুহাতে বসতবাড়ি নির্মাণের মহোৎসব চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- সাম্প্রতিক সময়ে মহেশখালী অঞ্চলের জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই পাহাড়ি সরকারি বনভূমির সংরক্ষিত এলাকায় স্কুল, মাদ্রাসা স্থাপনের অজুহাতে অবৈধভাবে দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি বনভূমির এই অপদখল ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সংরক্ষিত এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠবে বসতবাড়ি ও নানা স্থাপনা।
এ বিষয়ে মহেশখালী বন বিভাগের আওতাধীন মুদিরছড়ার বিট অফিসার আকতার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “ বিষয়টি শুনেছি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে বন বিভাগ কার্যত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় মহেশখালীতে ভূমিদস্যুরা দাপটের সঙ্গে বন বিভাগের জমি দখল করে যাচ্ছে। এসব দৃশ্য দেখেও নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকছেন বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।- অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের।
স্থানীয় পরিবেশ সচেতন লোকজনের মতে- এভাবে চলতে থাকলে এক সময় সম্পূর্ণভাবে বেদখল হয়ে যেতে পারে মহেশখালীর পাহাড়ি বনভূমি। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ সব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।