Advertisement


মাতারবাড়ির পানি নিষ্কাসনে ৪ পয়েন্টে স্লুইচ গেইট নির্মাণের দাবী

এমন স্লুইচ গেইটের অভাবে মাতারবাড়ির মানুষ




জনতার চোখ মাতারবাড়ির পানি নিষ্কাসনের ৪টি স্লুইচ গেইট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (১৪১৪) এর ভিতরে হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা। পানি নিস্কাসন ব্যবস্থা না থাকায় ইতোমধ্যে অন্তত ২হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে । অভিলম্বে পূর্ব ও পশ্চিম পাশে দুইটি করে নতুন স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে মাতারবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে এমন আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন।

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, ৪টি স্লুইচ গেইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ভেঙ্গে পড়েছে। লবণ উৎপাদন চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। চাষিরা লবণ চাষের জন্য প্রতি একর জমি প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা দরে অগ্রিম নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। মাঝ পথে এসে পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় লবণ মাঠে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত এ সমস্য সমাধান না হলে চাষিদের অপুরনীয় ক্ষতি হবে। বিকল্প পথে প্রকল্পের বাইরে দ্রুত খাল খনন করে পানি চলাচল সচল না করলে চাষিরা চরম লোকসানের সম্মুখিন হবে।

তিনি আরো জানান, মাতারবাড়ির পূর্বপাশে ৭০ নং পোল্ডারে ২টি ও পশ্চিম পাশে দুইটি স্লুইচ গেইট নির্মাণ অতীব জরুরী। আর ১/২ মাস পরেই বর্ষা মৌসুম শুরু হবে। বর্তমানে প্রকল্পের ভিতরে পড়া ৪টি স্লুইচ গেইটই ছিল মাতারবাড়ির পানি নিষ্কাসনের প্রধান বাহন। অবিলম্বে বিকল্প স্লুইচ গেইটগুলো নির্মাণ করা না হলে বর্ষাতে পুরো মাতারবাড়ি প্লাবিত হয়ে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হবে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মানুষ বসবাস করার দুরহ হয়ে উঠতে পারে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, লবণ চাষি ও স্থানীয়দের দূর্ভোগ লাগবে আশাকরি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সেলিম জানিয়েছেন, ৪টি স্লুইচ গেইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা আতংকের মধ্যে আছি। দ্রুত ৪টি স্লুইচ গেইট নির্মাণ করলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। না হয় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান নির্বাহী সবিবুর রহমান জানিয়েছেন, এ বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়।