Advertisement


মহেশখালীতে মাদকের ছড়াছড়ি! পুলিশের অভিযান জরুরি


রকিয়ত উল্লাহ।। বর্তমানে মহেশখালীর অলিগলিতে চলছে মাদকের কেনাবেচা। উপজেলার একাধিক স্পটে মাদক কেনাবেচা হলেও সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসনের মাদক বিরোধি অভিযান না থাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে। ফলে ব্যপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকের ব্যবহার। এ অবস্থায় দ্রুত পুলিশের কার্যকর অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল। 

সূত্র জানায়, কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে অবসর প্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা কর্মকান্ডের পর জেলাজুড়ে পুলিশ সদস্যের একযোগে বদলী করার পর নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয় কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসন। তারই ধারাবাহিতায় মহেশখালীতে ওসি আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে নতুন ভাবে দায়িত্ব পায় থানা পুলিশের টিম। 

জানাগেছে -রদবদল হওয়ার আগে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে তৎকালীন ওসি দিদারুল ফেরদৌস এর নেতৃত্বে উপজেলা জুড়ে অভিযানে বিপুল পরিমান মদ, ইয়াবা গাঁজসহ একাধিক মাদক কারবারী আটক করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। জানাগেছে -তিনি ৪ মাসে ১৭টি অস্ত্রও মাদক মামলায় ৪৩ জন মতো মাদক কারবারীকে আটক করেছিলেন। ৭টি  ছোট বড় মাদক ও অস্ত্রের কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক কারবারীরা আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল। উপজেলা জুড়ে বেশ সুনাম কুড়ালেও পুলিশের রদবদলে তার চিত্র উল্টে যায় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। রদবদলের প্রায় দুমাস হলে ও নেই কোন মাদক বিরোধী কার্যকর অভিযান। তার সুযোগে আত্মগোপনে থাকা মাদক কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের বিক্রিও। 

সূত্র জানিয়েছে -উপজেলার ছোট মহেশখালীর তেলী পাড়া, লম্বাঘোনা, সিপাহীর পাড়ার বড় বিল, বড় মহেশখালীর দেবাঙ্গা পাড়া, ফকিরাঘোনা, কুতুবজোমের তাজিয়াকাটা, মককাটা, খোন্দকার পাড়ার বেড়ীবাঁধ, পৌরসভার দঃ হিন্দু পাড়া, পুরাতন জেড়ি ঘাট, রাখাইন পাড়া, হোয়ানকের পুইছড়া, বড়ছাড়া পাহাড়ে, কালারমার ছড়ার আধাঁরঘোনা, ফকিরজোম পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, মাইজপাড়া, শাপলাপুরের বারিয়া পাড়া, মাতারবাড়ির পুরান বাজার, সাইরারডেইল, বাংলাবাজার, রাজঘাটসহ বেশ কয়েকটি স্পটে মাদকের ছড়াছড়ি বেড়েছে। 

তবে পুলিশের কার্যকর অভিযান না থাকায় মাদক কারবারিরা দিব্যিই চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা, আর এতে ধংস হচ্ছে যুবসমাজ, জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। ফলে নানা অপরাধ প্রবনতাও বেড়েই চলছে। এ অবস্থান পরিবর্তনের জন্য দ্রুত পুলিশের অভিযান জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল। 

মাতারবাড়ির পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা মামুন বলেন, পুলিশ যদি ঠিকভাবে তৎপর হয়, তাহলে মাতারবাড়িত সাত দিনের মধ্যে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। 

ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলী বলেন -কয়েক বছর আগে তেলীপাড়া, লম্বাঘোনা, সিপাহী পাড়াসহ কয়েকটি জায়গায় মদের ভেন্ডার  প্রশাসনের সহযোগীতায় গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবারও কিছু মাদক কারবারী সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করতেছে। তাদের বিরুদ্ধে ও প্রশাসনের সহযোগীতায় অভিযান চালানো হবে।

মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন -মাদকের বিরুদ্ধে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদকের আসামিও ধরা পড়ছে। যদিও তা উল্লেখযোগ্য নয়। তবে মাদক ও অন্যান্য বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।