এ.এম হোবাইব সজীব।।
কক্সবাজারের মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের সেতুর তলদেশ থেকে সেলো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। চকরিয়ার একটি প্রভাবশালী মহল জলাশয় ভরাট কাজে উক্ত বালি উত্তোলন করছে বলে জানাগেছে।
জলাশয় ভরাটের উদ্দেশ্যে কয়েকমাস যাবত নদীর নীচ থেকে এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে মহেশখালী বদরখালী বেড়িঁবাধ । এ ঘটনায় পাশ্ববর্তী ঘের মালিকরদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ীকে ম্যানেজ করে বালি উত্তোলন করছে বলে জানিয়েছেন কাজে দায়িত্বরত শ্রমিক মোজাফফর আহমদ।
জানাগেছে, মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের ১নং ব্লাক কবির আহমদ ঘাটা সংলগ্ম এলাকায় পশ্চিমের সাগরের অংশের নীচ থেকে কতিপয় মহল কয়েকটি পুকুর ভরাটের জন্য বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। যার কারণে বেড়িঁবাধ বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। এতে বড়ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে বেড়িঁবাধ । সেইক্ষেত্রে অবৈধ পুকুর ভরাট করার পাশপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, বদরখালীর পাশ্ববর্তী এক জনপ্রতিনিধি নেতৃত্বে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে একটি চক্র পুকুর ভরাটের উদ্দেশ্যে মহেশখালী-বদরখালী অংশের তলদেশ থেকে সেলো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। মাসখানিক যাবত সাগরের নীচ থেকে এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে অভিযুক্ত প্রভাবশালী চক্রটি। এ অবস্থার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে মহেশখালী-বদরখালী বেড়িঁবাধ । স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সাগরের নীচ থেকে বালু উত্তোলনে জড়িতরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেওয়ার সাহস করছে না। ঘের মালিকরা নিষেদ করলেও কিন্তু তারা তা না মেনে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বেঁড়িবাধ হুমকির মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ এক্ষেত্রে বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
বিষয়টি জানানো হলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু কুমার চাকমা বলেন, মহেশখালী-বদরখালী নৌ- চ্যানেলের অংশের নীচ থেকে বালু উত্তোলনে লিখিত অভিযোগ পেয়ে থাকলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী প্রদক্ষেপ নেয়া হবে। অবৈধ জেটি নির নীচ থেকে বালু উত্তোলনে কারো অধিকার নেই। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো।
চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, কেউ যদি সাগরের তলদেশ থেকে বালি উত্তোলন করে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।