অসীম দাশ।। বিয়ের আসর প্রস্তুত, পাত্র এবং পাত্রী’র স্বজনরাও হাজির। বাজতে শুরু করেছে বাদ্য-বাজনা, উপস্থিত আমন্ত্রিতরাও, কিন্তু খোঁজ নেই পাত্র-পাত্রীর! মহেশখালী নির্বাচনী পরিবেশ অনেকটা এমনই।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই ডিজিটাল এই আইল্যান্ডজুড়ে চলছে প্রার্থীতা নিয়ে ‘রহস্য’! প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ইউপি নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এই রহস্য কেবল ঘুরপাক খাচ্ছে ক্ষমতাসীল দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের নিয়ে। কিন্তু অপেক্ষার তর যে সইছে না আপামর জনতার। গ্রামের অলি-গলি ছাড়িয়ে চায়ের দোকান, সর্বত্রই এখন মূল আলোচনা, কে হচ্ছেন নৌকার প্রার্থী ?
জানা গেছে, প্রথম ধাপের ঘোষিত তফসিলে মহেশখালীর মাতারবাড়ি, হোয়ানক এবং কুতুবজোম ইউনিয়নে নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। আর এই তিন ইউনিয়নে প্রায় ২৫ জন নেতা ‘নৌকা’ পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এর মধ্যে হোয়ানক ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওয়াজেদ আলী মুরাদ এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর কাশেম এর নাম আলোচনায় রয়েছে। অন্যদিকে কুতুবজোম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকনের সাথে আলোচনায় আছে এড শেখ কামালের নামও। অপরদিকে দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়িতে আলোচনা চলছে এনামুল হক রুহুল এবং ছমি উদ্দীনকে ঘিরে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তা অনুযায়ী মহেশখালীর এই তিন ইউনিয়নসহ ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৭১টি ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবে কাল ১৫ই মার্চ সোমবার। এরপরই জানা যাবে কার কপালে জুটছেঁ ‘নৌকার’ রাজটিকা।
নির্বাচন কার্যালয় সুত্র জানাচ্ছে, মহেশখালীর হোয়ানক, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ির জন-সাধারণ আসছে ১১ এপ্রিল ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজেদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বার নির্বাচিত করতে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য।