Advertisement


বড় মহেশখালীতে চুরি করে রাতে বিক্রি করতে নেওয়া বই জব্দ করবে পুলিশ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক।। চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য দেয়া সরকারি বই মহেশখালীতে রাতের আধারে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গেল রাতে বড় মহেশখালীতে এমন ঘটনার খবর পেয়ে বইগুলো হেফাজতে নিয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। ঘটনাস্থলে গিয়ে বইগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মহেশখালীতে সরকারি বই গোপনে বিক্রি

সদ্য সংবাদ। মহেশখালীতে রাতের আধারে এ কী কাণ্ড❓

Posted by moheshkhalirsobkhabor.com on Sunday, January 16, 2022
সূত্র জানিয়েছে -বড় মহেশখালী ফকিরাঘোনা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের জনৈক মোহাম্মদ ছিদ্দিক এর মালিকানাধীন একটি ভাঙারির দোকানে বিপুল সংখ্যক নতুন বই মজুদ করা হয় রাতের আধারে। একজন খুচরা ভাঙারি পণ্য বিক্রেতা ওই দোকানের মালিকের কাছে বিক্রি করার জন্য বইগুলো নিয়ে আসে। এ অবস্থায় নতুন বই দেখে দোকান মালিক ও ভাঙারি ব্যবসায়ির সন্দেহ হলে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে জানান। পরে ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্য ওই দোকানে গিয়ে বিপুল সংখ্যক নতুন বই এর মজুদ দেখতে পান। মজুদ সব বইই ২০২২ সালের চলতি শিক্ষাবর্ষের। পরে বইগুলো ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা নিজেদের জিম্মায় রাখেন।

গ্রাম পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ সোলাইমান জানান -এখানে প্রায় ৭'শ কপির মতো নতুন বই পাওয়া গেছে। বইগুলো আপাতত ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় রয়েছে। বিষয়টি মহেশখালী থানাকে জানানো হয়েছে।

দোকান মালিক মোহাম্মদ ছিদ্দিক জানান -বড় মহেশখালীর কুলাল পাড়া এলাকার জনৈক মনজুরের পুত্র মোহাম্মদ রুবেল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যবহৃত কাগজ হিসেবে কেজির ওজনে বিক্রির জন্য তার দোকানে বইগুলো আনে। বইগুলো মজুদ করে রুবেল দোকান থেকে সরে যায়। পরে নতুন বই দেখে তার সন্দেহ হলে বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জানান। রুবেল তার কাছে নিয়মিত ভাঙারি পণ্য বিক্রি করে বলেও তথ্য দেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোর ৬টায় মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান -শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি বই বিক্রি করাটা খুবই দুঃখজন কাজ। সকালে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় গিয়ে বইগুলো জব্দ করবে। জব্দ করার পর বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী অনুসন্ধান ও আইনি উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন -তথ্য জানার পর পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখেছে -ইতোমধ্যে মহেশখালীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি বই কিভাবে ওখানে গেলো তা অনুসন্ধান করা হবে।

প্রসঙ্গতঃ সরকার বিপুল রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে অত্যান্ত যত্ন ও সতর্কতার সাথে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণের উদ্যোগ নেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সম্পদ চুরি করে বিক্রি করা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য কাজ বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো।