শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসার মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৫টায় নিহত শিক্ষক জিয়াউর রহমানের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে -এমন খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা ওই এলাকায় গিয়ে জমায়েত হন। জানাজা শুরু হওয়ার আগে মাদ্রাসার প্রাঙ্গনটি মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়৷ প্রিয় মানুষটি শেষবারের মত একটিবার দেখতে অনেকেই জানাজার মাঠে আসেন।
এ সময় অনেককে বলতে দেখা যায়- মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে শিক্ষক হত্যার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এ ঘটনায় যারা জটিত দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা না গেলে এরকম ঘটনা আরো ঘটবে।
জানাজা শুরুর আগে মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরীসহ বিভিন্নজন বক্তব্য রাখেন। ওসি খুনিদের খুঁজে বের করার আশ্বাস দেন।
পিতা হত্যার বিচার দাবি করে ও পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বক্তব্য রাখেন নিহতের সন্তান তৌহিদ।
পরে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাপন করা হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই এ নিয়ে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে মূল অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১ টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা বালিকা মাদ্রাসার মাঠে শিক্ষক জিয়াউর রহমানকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগমও গুরুতর আহত হয়। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।