Advertisement


মহেশখালীতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি, স্বস্তি ফিরেছে সাধারণে


সৈয়দুল কাদের।। মহেশখালীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতিতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রতিদিন সাঁড়াসি অভিযানের কারণে অনেক অপরাধী ইতোমধ্যে আত্মগোপনে চলে গেছে। নবাগত অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী এক মাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলে জানালেন সাধারণ মানুষ।

মহেশখালীতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। মহেশখালী থানা সুত্রে জানা যায় গত এক মাসে অন্তত ৩০০ পেরোয়ানা নিষ্পত্তি করেছে পুলিশ। এতে সাজাপ্রাপ্ত ও দাগী আসামী গ্রেফতার হয়েছে অন্তত ৬০ জন। পুলিশের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে এমন প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ। তৎমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে দুইটি এলজি, ইয়াবা ৩৫৮টি, সোলাই মদ ১৮৮ লিটার, চোলাই মদ তৈরীর ওয়াশ ৬০ লিটার ও ৬০০ গ্রাম গাঁজা রয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা শওকত ওসমান জানিয়েছেন, নবাগত ওসি প্রণব চৌধুরী’র নেতৃত্বে মহেশখালী থানার প্রতিটি ইউনিট পরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন। যার ফলে সুফল পাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। বর্তমানে চিংড়ি প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। কোন ধরণের চুরি, ডাকাতি কিংবা কোন অপরাধমুলক কাজ প্রজেক্ট এলাকায় হয়নি। সাধারণ মানুষ তথ্য দিলেই পুলিশ দ্রুত সাড়া দিচ্ছে। জলদস্যুতার ঘটনা হয়নি সাগরে। এতে নির্বিঘেœ সাগরে মাছ ধরছেন জেলেরা। ট্রলার মালিক নুরুল আবচার জানিয়েছেন, ট্রলার মালিকরা এখন অনেক স্বস্থিতে আছেন। আমরা কোন ভয়ভীতি ছাড়াই সাগরে মাছ ধরছি। নবাগত ওসি যোগদান করার পর
থেকে আমাদের মনোবল বড়েছে। সোনাদিয়া কেন্দ্রিক জলদস্যুতা দীর্ঘ ঘটে আসলেও এখন তেমন সমস্যা দেখছি না। নিষেধাজ্ঞার শেষে ইতোমধ্যে আমার ৩টি ট্রলার ২৫ লাখ টাকার মাছ পেয়েছে ৩ ট্রিপে। পুলিশ যেভাবে জেলে, ব্যবসায়িসহ সকল স্তরের মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে এতে আমরা সন্তোষ্ট। আমরা চাই নবাগত ওসির নেতৃত্বে এই ধারা অব্যাহত থাকুক।


কালারমারছড়া ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন আমরা স্বস্থিতে আছি। আর কয়েকদিন পর মৌসুমী পান চাষ শুরু হবে। সন্ত্রাসী
গ্রেফতারে প্রশাসন এভাবে সজাগ থাকলে চাষীরা উপকৃত হবে। পুলিশের সক্রিয়তার কারণে এলাকায় চুরি ও ছিনতাই নেই বললেই চলে। তবে কোন পুলিশ যখন সন্ত্রাসী গ্রেফতার অভিযান জোরদার করে তখন একটি পক্ষ অসন্তোষ্ট হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অপ্রচারে লিপ্ত হয়। মহেশখালীতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি
হওয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছে। তারা পুলিশের অভিযান বন্ধ করতে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। যাতে সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করা যায়। এতে ইন্ধন রয়েছে একটি সরকার বিরোধী চক্রের।
নবাগত অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশি সেবা জনগণের
দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। অপরাধী যে কেউ হোক না কেন কোন
প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। উপজেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে
আমরা সকলের সহযোগীতা চাই।