Advertisement


মহেশখালীর প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে বন বিভাগের চাঁদাবাজি


নিজস্ব প্রতিবেদক।। মহেশখালীর প্রবেশপথ কালারমার ছড়ার চালিয়াতলীতে চেকপোস্ট বসিয়ে তৈরীকৃত আসবাবপত্র গাড়ী, কাঁকড়া, বালি ও কাটা গাছ ও কাঠের গাড়ী থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে বনবিভাগের লোকজন। খোদ সাংবাদিকদের অফিসে এসে বনবিভাগের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় বালুর ডেইলের ব্যবসায়ী নেছার আলম জানান- নিজের দোকানের জায়গা ভরাট করার জন্য সামান্য বালি আনতে চাইলে চাঁদাদাবি করে বসে নবায়ব নামে বন বিভাগের এক কর্মচারী। অথচ প্রতিদিন এই কর্মচারীকে চাঁদা দিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে বালি পাচার হয়ে আসছে।

অপরদিকে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য চকরিয়া থেকে আসবাবপত্র কিনে মাতারবাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন এক কন্যার পিতা। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন - চালিয়াতলীতে ফার্নিচারের গাড়ী আটকিয়ে ১ হাজার টাকা চাঁদা নেন সাইদুর নামে বন বিভাগের অপর এক কর্মচারী। অভিযোগ রয়েছে- এভাবে আদায় হওয়া প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা গুলোর একটি অংশ যায় বন বিভাগের উপজেলা সহকারী রেঞ্জ অফিসে।

অনুসন্ধানে জানা যায়- বালুর ডেইল তিন মাথা এলাকায় মাতারবাড়ি রাস্তার মুখে যা উত্তর নলবিলা (ষাইটমারা) ক্যাম্প নামে প্রাচীন ও পুরাতন জুরিডিকশন হিসেবে অনুমোদিত একটি বন বিভাগের ক্যাম্প রয়েছে। এই ক্যম্প এলাকার আওতাভুক্ত চালিয়াতলীতেই মহেশখালী সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে জনতা বাজার ফরেস্ট ক্যম্প নামে একটি চেকপোস্ট বসিয়ে কালারমার ছড়া বিট ও শাপলাপুর বিটের দুইজন কর্মচারীকে দিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। এ অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে।

অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্যের দখলে থাকা বন বিভাগের জায়গার ইস্যুতে তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করেন বন বিভাগের লোকজন। টাকা না দেওয়ায় এ জায়গা দখল নিতে অনুমোদনহীন জনতা বাজার ফরেস্ট ক্যাম্প নামে চেক পোস্ট নির্মাণ করছে বন বিভাগ।  

আর সেই চেকপোস্ট বা অফিসের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোবাইলে অনুমোদন আছে বলে জানালেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিস্তারিত জানতে চট্টগ্রামে বনবিভাগের কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী জানান- "আমি গত চার মাস ধরে দায়িত্বে নেই।"  বক্তব্য নিতে রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনিও।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দু রহমান জানান- কালারমার ছড়া ও শাপলাপুর বিট কার্যালয় ১০-১২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় পাহাড়ের গাছ, মাটি রক্ষা করতেই চালিয়াতলীতে অফিস করা হচ্ছে। উক্ত স্থানে বন বিভাগের লোকজন কোন অনিয়ম করলে তা তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।